ডেস্ক রিপোর্ট: অনলাইনে গড়ে ওঠা প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে অর্থ খোয়ানোর হার বেড়েছে লকডাউনে।
যুক্তরাজ্যের একটি ফাইন্যান্স কোম্পানি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতারকের কাছে টাকা পাঠানোর হার ছিলো ২০ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালে প্রতারণার কারণে সব মিলিয়ে খোয়া গেছে ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড।
ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতারণা বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্যের পরামর্শ নিয়ে টাকা খরচ, টাকা পাঠানোর আগে গুগলে সার্চ করে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য নেয়া এবং প্রতারিত হওয়ার আশংকা থাকলে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
অ্যাকশন ফ্রড নামের একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ২০২০ সালে অনলাইন শপিংয়ে প্রতারিত হওয়ার চেয়ে প্রেমে প্রতারিত হওয়ার হার অনেক বেশি ছিলো।এই পরিস্থিতির জন্য মহামারিও দায়ি। লকডাউনের কারণে সঙ্গী খুঁজতে মানুষ অনলাইনের উপর ভরসা করছে। ডেটিং অ্যাপগুলোতে প্রতারকরা ঘাঁপটি মেরে থেকে। কথাবার্তা চালিয়ে যেতে পরবর্তীতে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হন।
ইউকে ফাইন্যান্সের ইকোনোমিক ক্রাইমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাটি ওরোবেক বলেছেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে শুধু পকেট কাটা যায় কিন্তু প্রেমে প্রতারিত হলে হৃদয়টাও ভাঙে।
ডেটিং অ্যাপে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করে প্রতারকরা। প্রেমালাপ চালিয়ে ল্যাপটপ বা ফোন গিফট হিসেবে নেন। এরপর চিকিৎসা বা ব্যবসার প্রয়োজন দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে সটকে পড়েন।
প্রতারিত হয়ে অনেকেই লজ্জায় পড়ে থানায় অভিযোগ করেন না। তবে যারা অভিযোগ করেন কিছু অর্থ তারা উদ্ধার করতে পারেন। যেমন অ্যানা নামের এক নারী প্রেমিককে রোমানিয়ায় পাঠাতে ৩ লাখা ২০ হাজার পাউন্ড দিয়েছিলেন। থানায় অভিযোগ করার পর তিনি অর্ধেক টাকা ফেরত নিতে পেরেছেন।