ডেস্ক রিপোর্ট : বড় বড় ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশকে বিদায় কথাটা বলতে হয় আগেভাগে। বিশেষ করে অলিম্পিক গেমসের ভরা হাট থেকেই তো বিদায় বলতে হয় লাল-সবুজের ক্রীড়াবিদদের। ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমস দিয়ে বাংলাদেশের আগেভাগে বিদায় শুরু, শেষটা রোববার টোকিও অলিম্পিকে।
করোনা মহামারির এই সময়ে টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ৬ ক্রীড়াবিদ। এর মধ্যে কেবল আলোচনায় ছিলেন দুই আরচার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী।
দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ যথারীতি হিট থেকে বিদায় নিলেও দুইজনই ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং করায় সবাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন। ২৯ বছর পর অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটারে অংশ নেয়া জহির রায়হানের লক্ষ্যও ছিল নিজের সেরা টাইমিং করা। কিন্তু পারেননি শেরপুরের এ যুবক।
এক কথায় টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের শেষটা ভালো হলো না। ভালো বলতে পদক জেতা বা অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটারের সেমিফাইনালে ওঠা নয়, জহির রায়হানের টাইমিং ভালো করা। কিন্তু রোববার সকালে তিনি হিটে বাদ পড়েছেন ৮ প্রতিযোগির মধ্যে সবার শেষে দৌড় শেষ করে।
জহিরের দৌড় শেষ হওয়ার সঙ্গে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের আরেকটি অলিম্পিক মিশন। গেমস শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও বাংলাদেশ রোববারই বলে দিলো- বিদায় টোকিও, দেখা হবে প্যারিসে।
হ্যাঁ, বাংলাদেশের তৃপ্তির জায়গাটা ‘ব্যক্তিগত সেরা’ পারফরম্যান্সেই সীমাবদ্ধ যুগযুগ ধরে। ব্যর্থতার মিছিলে সেটাই বাংলাদেশের জন্য হয়ে যায় বড় পাওয়া।
বলতে বলতে আরেকটি অলিম্পিক গেমস শেষ হতে চলেছে। শেষ হতে চলেছে কিছু ক্রীড়াবিদ সামনে রেখে একদল মানুষের আনন্দভ্রমণ। হয়তো এভাবেই চলবে যুগের পর যুগ।
ক্রীড়া প্রশাসনের সামনে কিছু একটা ‘আশার মুলা’ ঝুলিয়ে বহর বড় করে প্যারিস যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যাবে বছরখানেক পর থেকেই। সময় দ্রুত চলে আসছে- তিন বছর পরই যে ভালোবাসার শহর প্যারিসে আরেকটি অলিম্পিক গেমস।