উৎপাদনে উদ্বৃত্ত উপজেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর। এ উপজেলার মাঠ ঘাট এখন সবুজের প্রকৃতিতে এক অপরূপ শোভা পাচ্ছে মাঠ ঘাটে বোরো ধানের জমিগুলো। মাঠ জুড়ে বোরো আমন ধানের বাড়-বাড়ন্ত। দিন যত যাচ্ছে ধানগাছ ততই বেড়ে উঠছে। প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে ধানের চেহারা। হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধানের গাছগুলো। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে সেচসহ ক্ষেত পরিচর্যায়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় চলতি বোরো আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৬ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানরে চাষ করেছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন পরেই সবুজ ধানগাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীর্ষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা ফসল দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটে তাহলে আক্কেলপুরে এবারও ইরি-আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের।
সোনামুখী গ্রামে কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর আমার সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। আগের বছরে ধানের দাম ভালো হওয়ায় এবার একটু বেশি জমিতে ধান লাগিয়েছে করেছি। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে, তাহলে এ বছর ধানের ভালো ফলন পাবো আশা করছি।
আমুট্ট গ্রামের আরেক কৃষক শাহীন হোসেন জানান, ধানগাছ বড় হয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে শীর্ষ বের হবে। কিছুদিন অতিরিক্ত খরায় গাছ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন বৃস্টি হওয়া সেই ভয়টা কেটে গেছে। এখন আমরা ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করে পোকা দমন কিটনাশক প্রয়োগ করছি। গত বছরের চেয়ে এবার ধান চাষে খরচ বেশি হচ্ছে। খরচ বেশি হলেও আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কামনাশিস্ সরকার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছ বোরো আমন ধানের চাষ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত ধানের তেমন কোন বড় রোগ বালাই দেখা দেইনি । তবু কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করছেন। ধানের দাম ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে