বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কাপ্তাই সেনা জোন কতৃক  শারদীয় দুর্গোৎসব এবং কবরস্থান সংস্কারে সহায়তা প্রদান পরিবেশ রক্ষায় গাছকে ভালবাসুন: সালেহ আহমেদ “আম্মু তুমি যেখানে থাকো ফিরে আসো” পাইকগাছায় মাকে ফিরে পেতে সন্তানদের আকুতি নান্দাইলে শিশু যত্নকেন্দ্রে খেলনা সামগ্রী ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ছয় বছর ধরে জরাজীর্ণ ঘরে মতিন-সাবিনা দম্পতি বসবাস সালথায় ৪৫ টি পূজা মন্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা বন্যায় তিন জেলায় ১০ মৃত্যু, শেরপুরেই ৮ জন পাহাড়ে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি’র মতবিনিময় নলছিটির জনসাধারণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতিক ইউএনও নজরুল ইসলাম নান্দাইল চৌরাস্তা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের বেহাল-দশা রাতে আলো জালিয়ে চলনবিলে টেটা দিয়ে মাছ শিকার কাপ্তাইয়ে হেডম্যানদের সাথে ৪১ বিজিবি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কাপ্তাইয়ে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কাবাডিতে চ্যাম্পিয়ন ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ঘাটাইলে চার গ্রামের একমাত্র রাস্তার ভাঙ্গন হাজার মানুষের কান্নার কারণ মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীসেবায় হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, কারামুক্তিতে বাধা নেই খুলনা ডিআইজির বদলি, পদায়নে অভিনব পদ্ধতি জামায়াতের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক স্যাংশনভীতি এবং স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন পদত্যাগ করলেন পিএসসি চেয়ারম্যান অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণে কমিটি গঠন দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ানো হচ্ছে : মাহফুজ আলম পাইকগাছায় চক্ষু ক্যাম্প উপলক্ষে অবিহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত সকালে নারিকেল খাবেন যে কারণে কাবার গিলাফ উপহার পেয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আমার মতো ভুল কেউ করবেন না : পরীমণি

আগামী ১০-১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে কোন দল টিকে থাকবেনা : জয়

অনলাইন ডেস্ক :
শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, ৭:৩৯ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী উল্লেখ করে বলেছেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত বলে কোন দল টিকে থাকবেনা।

তিনি আজ সাভারে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশ বিএনপি-জামাত বলে কোন দল টিকে থাকবেনা। যখন এই জঙ্গিবাদী মৌলবাদী শক্তির চিহ্ন বাংলাদেশ থেকে মুছে যাবে, তখন দেশে শান্তি আসবে।’

জয় বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। আর এ জন্য তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে যে উন্নতি হয়েছে তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এবার ৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি সংগঠনকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে ২০১৫ সাল থেকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমি বাংলাদেশের তরুণ ও আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে। আপনারা শুধু সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন না। আপনারা সমস্যার সমাধান চিন্তা করছেন এবং সমাধান বের করছেন ও বাস্তবায়ন করছেন। আমি শুরু থেকে বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। নিজের উদ্যোগে নিজের কর্মসংস্থান আপনারা বের করে নিতে পারেন। দুর্নীতির সমস্যাও আপনারা সমাধান করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা না, আমরা সবাই এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে পারি।

তিনি জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সকল সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ৭০০ এর বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, সংগঠনগুলো এতো বেড়েছে।

আমরা শুরু করেছিলাম মাত্র কয়েকশো দিয়ে। এখন সাতশোর বেশি আবেদন এসেছে। আপনারা যেভাবে কাজ করছেন সব জেলায়, যেভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছেন, পরিশ্রম করছেন। যে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, জাতিসংঘ, ইউনেস্কো সবখানে। তা দেখে খুব গর্ব হয়। বাংলাদেশের তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তরুণদের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন। মানুষ ও পরিবেশের জন্য যে চিন্তা করছেন, পরিশ্রম করছেন, তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল, তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। শুধু বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আমরা চিন্তা করি। আপনারা সেটা দেখিয়ে দিচ্ছেন। গত ১৫ বছর ধরে উন্নয়নের যে ধারা, বাংলাদেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমরা যখন শুরু করেছিলাম, বাংলাদেশ তখন ছিল দরিদ্র দেশ ছিল। এখন হয়ে গেছি মধ্যম আয়ের দেশ।
তিনি বলেন, আমাদের যে পাথফাইন্ডার আছেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। স্বাধীনতার আগে থেকে আপনারা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা। এই তরুণরা আপনাদেরই সন্তান। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নির্বাচনের সময় নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সমস্যা হচ্ছে, বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস। জ্বালাও পোড়াও। নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ।

এই সমস্যাও কিন্তু দূর করা যায়। আমরা জানি গত তিন নির্বাচন ধরে তাদের এই নির্যাতন, প্রত্যেক নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে তারা এই জ্বালাও পোড়াও শুরু করে। এটার মোকাবেলা কি? খুব সহজ। মোকাবেলা হচ্ছে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেবেন। যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দেবেন।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, যারা দেশের জন্য কোনদিন কিছু করেনি স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি করা দল। যে দেশে গণহত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমান মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, তার সৃষ্ট দল। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যারা যুদ্ধ অপরাধী, সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে এনেছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ চালিয়েছে এবং এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের জন্য কোনোদিন কিছু করেনি। দেশের জন্য আপনারা কাজ করছেন, আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।

দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা এখন আর কাউকে বোঝাতে হয় না বাংলাদেশের মানুষ ১৫ বছর ধরে দেখেছে দেশ কোথায় থেকে কোথায় এসেছে। কেউ কল্পনা করতে পারেনি উন্নয়নের এই গতি ১৫ বছর আগে কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, বাংলাদেশ যে এতদূর আসবে। এই গতি যদি ধরে রাখা যায় আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ নেই জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উষ্কানি দিচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো, এদের কথায় কানে দেবেন না। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করে। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উষ্কাচ্ছে। তবে চিন্তা করবেন না, যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। তারাও চুপ হয়ে যাবে। আর বেশি দিন নাই, মাত্র দেড় মাস।

সামনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে একটি উপায়৷ আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।


এই বিভাগের আরো খবর