কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম চাঞ্চল্যকর মহেশকুড়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল হক হত্যা মামলায় মানিক মিয়াকে মৃত্যুদন্ড ও নূরুল করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তাছাড়া প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, আমিনুল হকের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মহিষজোড়া গ্রামে। তিনি হোসেনপুরে জিনারী গ্রামে একটি দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে চাকুরী করতেন। গত ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমিনুল হকের পুত্র রক্সি প্রাইভেটকারে বাড়ি ফেরার সময় ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবক মানিক রক্সিকে মারধর করে বাড়িতে নিয়ে বেধে রাখে। খবর পেয়ে রক্সির পিতা আমিনুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির শুরু হলে মানিক ও তার পিতা নূরুল করীম তার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে মানিক ছুরি দিয়ে আমিনুল হকের বুকে আঘাত করে। গুরুতর আহত আমিনুল হককে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ১৭ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে দুইজনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
সাক্ষ্য জেরা শেষে আদালত মানিক মিয়াকে ফাঁসি ও তার পিতা নূরুল করিমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। আসামী মানিক মিয়া পলাতক থাকায় যেদিন তিনি গ্রেফতার হবেন অথবা আদালতে আত্ম সমর্পন করবেন সেদিন থেকে এ রায় কার্যকর হবে। আসামীদের বাড়ী হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের গাবুরগাঁও গ্রামে।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি আবু সাঈদ ইমাম ও আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল।
