সোহেল রানা, শ্রীপুর থেকে : গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা এলাকার লোকজন এখন রাতের আঁধারে বিদ্যুতের আলোতে পথ চলেন। ওই এলাকার আশপাশের লোকজনও রাতে ওই আলোতে যাতায়াত করছেন।
শ্রীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বহেরারচালা গ্রামটি পশ্চিম সীমান্তে এর অবস্থান। ওই গ্রামের আশপাশে মাওনা ইউনিয়ন ও গাজীপুর সদর উপজেলা। ঐতিহ্যবাহী লবলং খাল এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। পৌরসভা গঠনের পর থেকে ক্রমাগতভাবে ওই এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, সড়ক আলোকিত করার জন্য শ্রীপুর পৌরসভা থেকে সড়ক বাতির প্রকল্প চালু করা হয়। পৌরসভার অভ্যন্তরীণ বাজার এবং সড়কগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে মনোয়ার সরকার বলেন, কড়ইতলা বাজার থেকে ২নং সিএন্ডবি রাস্তায় ২ বছর আগেও রাতের অন্ধকারে পথ চলতে হতো। গত ২ বছর যাবত রাতের আঁধারে তারা বিদ্যুতের আলোতে পথ চলেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. হালিম উদ্দিন বলেন, গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সড়কবাতি সংযোজন করায় চোরের উপদ্রব ও মন্দ লোকের আনাগোনা কমেছে। আব্দুল বাতেন ফকির বলেন, কড়ইতলা মোড় থেকে বিলাইঘাটা সড়কে আমিনুল ইসলামের বাড়ী পর্যন্ত সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। আগে এই সড়কে তৈরি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকরা অন্ধকারে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতো। তারা উত্যক্তসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হতো। সাধারণ লোকজন ছিনতাইয়ের শিকার হতো। তবে বর্তমানে আঁধারে ওই সড়ক সারারাত আলোকিত থাকে।
টি ডিজাইন কারখানার নারী শ্রমিক হোসেনে আরা বলেন, শিফিটিং ডিউটি থাকলে বিশেষ করে রাতে কাজে যেতে হয়। ফলে অন্ধকার ও গুমোট পরিবেশ আমাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে। বছর দু’য়েক যাবৎ সড়কবাতির কারণে রাতের আঁধারেও আলোকিত থাকে। এতে রাতে কারখানায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, তা অনেকটাই কমেছে।
শ্রীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র ও বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সিলর প্রার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, তার ওয়ার্ডের সব সড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ইতোমধ্যে সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। নাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে অন্যান্য সড়কগুলো সড়কবাতি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, সড়কবাতি প্রকল্পের কাজটি গত কয়েক বছর যাবৎ চালু হয়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে এই প্রকল্প চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো পৌরসভাকে রাতের আঁধার ছাপিয়ে আলোকিত করা হবে।