টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ধর্ষণকারীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার জি.টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা ধর্ষণ বিরোধী বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড প্রদর্শন করে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার আসামিরা হচ্ছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গওহরডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিতুল হোসেন (২৩), টুঙ্গিপাড়া গ্রামের আনোয়ার উদ্দিন খানের ছেলে রসুল খান (২৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ শুকুর আহম্মেদের ছেলে রাজিব শেখ (২২)। মামলা বিবরণে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রতিদিনের মত পাটগাতী গ্রামের সঞ্চরণ কোচিং সেন্টারে মেয়েটি পড়া শেষ করে বাসায় আসার পথে ৩ জন বখাটে যুবক পথ রোধ করে জোর পূর্বক গোপন স্থানে নিয়ে চেতনা নাশক স্প্রে করে মেয়েটির সঙ্গে জবরদস্তি করে। এরপর রাজি না হলে তারা মেয়েটির মাথায় আঘাত করে। তখন মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে গণধর্ষণ করে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় বাসার সামনে ফেলে রেখে যায়। এরপর গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় মেয়েটির পরিবার। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর চাচা বলেন, ধর্ষণের পর দুই দিন মেয়েটি অজ্ঞান থাকায় অসুস্থতার কারণ জানতে পারিনি। পরে তার কাছ থেকে ধর্ষণের বিষয় জেনেছি। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় সুস্থতা নিয়েই ভেবেছি। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু মামলার পরও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর বিচারের দাবি জানাই। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ও মেয়েটির ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।