মিজানুর রহমান, মোংলা থেকে: দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলা উপজেলার মোংলা পোর্ট পৌরসভার আধুনিকায়নে যে মানুষটি সবচেয়ে পরিশ্রম করেছেন তিনি হলেন বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব জুলফিকার আলী। এক সময়ের জরাজীর্ণ পৌরসভাকে তিনি দেশের অন্যতম মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত করেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পৌরসভার নাগরিকরা পাচ্ছেন উন্নত মানের সেবা।পৌরসভা থেকে ডিজিটাল সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন মোংলা পৌরবাসী।
পৌর শহর একসময় দিনে দুবার পানিতে ডুবে যেত।আর এখন উন্নত রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরে এখন আর পানি আসে না। মোংলাতে কোন বিনোদন কেন্দ্র বা কোন শিশু পার্ক ছিলনা।জুলফিকার আলী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন থানা ভবনের সামনে অধ্যাধুনিক শিশু পার্ক নির্মান করেছেন। যেখানে প্রতিদিন শত শত শিশু তাদের বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে আসেন।
মোংলার স্থানীয় জনসাধারণ ও পর্যটকদেক আকৃষ্ট করতে মোংলা ও পশুর নদীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক।নানা রকম ফুল গাছ ও ঔষুধী বৃক্ষে সাজানো হয়েছে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দুই পাশ। প্রতিদিন সেখানে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়। এক কথায় বলা যায় নৈসর্গের এক নতুন উপহার মোংলা পৌরসভা। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক ও ভাষা শহীদদের স্মৃতি স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ। যা বর্তমান মেয়র জুলফিকার আলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হয়েছে।
পৌরসভাকে দৃষ্টি নন্দন করতে নির্মাণ করা হয়েছে পানির ফোঁয়ারা। যা পৌরবাসীকে আকৃষ্ট করে।ঈদের জামাত আদায় করার জন্য অধ্যাধুনিক ঈদগাহ ময়দান নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে ৫ হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারছে।বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধারণ মানুষকে সহযোগীতা করেছেন।
নবজাতক শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পৌরসভায় বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নেও মেয়র জুলফিকার আলী অনেক অবদান রেখেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।দিগরাজে পৌর সুপার মার্কেটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পৌরসভার পূরনো ভবনের স্থানে বিএমডিএফের সহায়তায় নতুন করে দোতলা মার্কেট নিমার্ণের কাজ চলছে,যা আগামী বছরের শুরুতে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।