সাব্বির আহমেদ খান, কেন্দুয়া থেকে
ঐতিহাসিক জালিয়ার হাওড়ের পশ্চিম দক্ষিণ কোনে কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের অদূরে বর্ণী নদীর তীরে উন্নত জৈব বালাই নাশক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১শ হেক্টর অর্থাৎ আঞ্চলিক ভাষায় ২৪৭ একর জমিতে হচ্ছে খিরা চাষ। খিরা চাষকে একটি অর্থকরি ফসল হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনের পরামর্শমতে উপজেলা প্রশাসন থেকে ৭৫জন খিরা চাষিকে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক কীট ও জৈব বালাইনাশক দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কৃষকদের হাতে এ সহযোগিতা তুলে দেয়া হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির জানান, ওই এলাকায় এমনিতেই চাষিরা খিরা চাষ করে থাকেন। তবে কোন পরিকল্পনা ও বালাই নাশক প্রযুক্তি ছাড়াই খিরা চাষ করার ফলে চাষ করা জমিতে যে পরিমান সুষ্ঠু ফলন উৎপাদন হবার কথা সে পরিমান ফলন তারা পাচ্ছেন না। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উন্নত জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তিতে ১শ হেক্টর জমিতে খিরা চাষের বিষয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যে প্রকল্পটিতে জেলা প্রশাসনের পরামর্শ মতে উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ৭৫ জন কৃষক এ আর্থিক সহায়তার আওতায় আসছে। তিনি বলেন, খিরার সুষ্ঠু ফলন উৎপাদনের জন্য বীজ বপন থেকে শুরু করে ফলন তোলা পর্যন্ত কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা দেবে।
কৃষকদের নিজস্ব পদ্ধতিতে খিরা চাষ করা হলে যেখানে ১ হেক্টর জমিতে ২০ মেট্রিকটন খিরা উৎপাদন হত সেক্ষেতে উন্নত জৈব বালাই নাশক প্রযুক্তিতে ১ হেক্টর জমিতে ২৫ মেট্রিকটন খিরা উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে প্রতি কেজি ১০ টাকা মূল্যে ১ হেক্টর জমিতে খিরার উৎপাদন মূল্য হবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে অনুপাতে ১শ হেক্টর জমিতে উৎপাদন মূল্য হবে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যদি বড় ধরনের প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে খিরা উন্নত জৈব বালাই নাশক প্রযুক্তিতে ১শ হেক্টর জমিতে খিরা চাষিদের মুখে ফুটবে প্রাণের হাসি।