ময়মনসিংহ অফিস:
ময়মনসিংহে কিশোর রাকিব হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের গত শনিবার আদালতে পাঠানো হলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। ময়মনসিংহ সদরের চরগোবিন্দ গ্রামের কুঠিপাড়া সুতিয়া নদীরপাড়ে বৃহস্পতিবার বিকালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মামলা সূত্র ও পুলিশ জানায়, জেলা সদরের বাহাদুরপুরের খলিলুর রহমানের কিশোর ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব। বেগুনবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় করোনার কারণে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে। এদিকে বাহারদুরপুরে জামিলুর রহমান রিয়ন ও খাগডহর ঘুন্টির সানজিদুর রহমান ওরফে সামির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। তাদের সঙ্গে চলে নিয়মিত আড্ডা, মোবাইলে গেম খেলা। এ নিয়ে রিয়ন ও সামির সঙ্গে রাকিবের বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের জের ধরে রিয়ন ও সামি গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাকিবকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে চরগোবিন্দ গ্রামের কুঠিপাড়া সুতিয়া নদীরপাড়ে রাকিবকে ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের পিতা খলিলুর রহমান কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ৭৮(২)২০২১ দায়ের করে। মামলায় বাহারদুরপুরে জামিলুর রহমান রিয়ন ও খাগডহর ঘুন্টির সানজিদুর রহমান ওরফে সামিকে আসামি করা হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাত ও জবাই করে কিশোর হত্যার ঘটনায় পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান কঠোর অবস্থান নেন। কোতোয়ালী ও ডিবি পুলিশকে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে এসআই পরিমল চন্দ্র সরকারসহ একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক সানজিদুর রহমান ওরফে সামিকে এবং কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদারের নেতৃত্বে এসআই নিরূপম নাগ, মিনহাজ উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন পৃথক আরেকটি দল অভিযান চালিয়ে জামিলুর রহমান রিয়নকে গ্রেফতার করে। কোতোয়ালী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, গ্রেফতারকৃতদের গত শনিবার সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা উভয়েই হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধি দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা এ নিয়ে তদন্ত চলছে।