ঢাকাপ্রতিদিন প্রতিবেদক : জেলায় চলতি মৌসুমে কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে জৈবসার এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ফুলকপি চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে প্রায় দ্বিগুণ লাভের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার রাজারহাট উপজেলায় ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর ও মিস্ত্রিপাড়ার কৃষকরা কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ফুলকপির বাম্পার ফলন পেয়েছেন। উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করতেও সক্ষম হচ্ছেন তারা। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে হাব-ক্লাস্টার পদ্ধতির মাধ্যমে সমন্বতিভাবে কৃষকরা জমিতে ফেরোমন ফাঁদ বা বিষ টোপ এবং ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকা রোধ করছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে চাষাবাদ করায় মাটিতে ক্ষুদ্র অনুজীবের ক্রিয়াশীলতা ৩০ থেকে একশ’ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। উচ্চমাত্রায় জৈব উপাদানের কারণে মাটিতে অনুজীবের ক্রিয়া এবং মাটির বুনা ঠিক থাকে। এছাড়া, কীটনাশক ব্যবহার কমানোর কারণে উপকারী পোকামাকড়, মাছ, ব্যাঙ, পশু, পানি প্রভৃতি সংরক্ষণে ইতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে একলাখ থেকে দেড়লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে তারা প্রতিবিঘা জমি থেকে ৪০হাজার টাকার বেশি ফুলকপি বিক্রি করেছেন।সামনে আরও ৭০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন। কীটনাশক ব্যবহার কমার কারণে শ্রমিকরা ভালো ভাবে কাজ করতে পারছেন।আগের মতো আর হাঁচি, মুখ জ্বলাপোড়া ইত্যাদি যেমন নেই, তেমনি জমিতে কীটনাশকের কোন গন্ধও নেই।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, কৃষকদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর