রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম থেকে:
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক কাজে গতি না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা থেকে শুরু করে ঠিকাদারী বিল দেওয়া ও বিভিন্ন দরপত্রের কাজে বিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নবিউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হাসপাতালের সব ক্ষেত্রে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবিকাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি বিধিমালার কোনো তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না। সিনিয়রদের বাদ দিয়ে জুনিয়রদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে হিসাব রক্ষক হিসেবে শাহিনুর রহমান শাহিন দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আর এরই কারণে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের বর্তমান হিসাব রক্ষক মো. শাহিনুর রহমান শাহিন ব্যক্তিগতভাবে ডেল্টা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হওয়ায় তিনি তার প্রতিষ্ঠানেই সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকেন বলে অনেকের অভিযোগ। দক্ষ কর্মকর্তার অভাবে প্রশাসনিক কাজে গতি কমে গেছে। ইতোপূর্বে গত ৩ বছর কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে হিসাব রক্ষক পদে আশরাফুল মজিদ দায়িত্ব পালন করায় কোনো ধরনের জটিলতা ছিল না। তিনি সার্বক্ষণিক হাসপাতালের কাজেই ব্যস্ত থাকতেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা থেকে শুরু করে সব ঠিকাদারী কাজের বিল যথা নিয়মে, যথা সময়ে দেওয়া হতো। আশরাফুল মজিদ গত জানুয়ারি মাসে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে থেকে বদলী হওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা সমস্যার সম্মুক্ষিণ হচ্ছে। অনেকের দাবি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে আশরাফুল মজিদকে পুনরায় তার পূর্ববর্তী কর্মস্থলে দায়িত্ব দিলে সমস্যা কাটিয়ে উঠবে। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আশরাফুল মজিদ কর্মরত রয়েছেন। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা সহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবিকাদের প্রত্যাশা পূরণে স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালকের একান্ত সুদৃষ্টি কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এমএসআর’র টেন্ডারের কাজ নিয়ে হাসপাতাল কেন্দ্রিক নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নবিউর রহমান জানান, টেন্ডার কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতাদের নাম, প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি অফিসে পাঠানো হয়েছে। আমার কাছে পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট রুল-২০০৬/২০০৮ এর গাইড লাইন দেওয়া আছে। আমি এর বাইরে যাবো না। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
