রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত্যু বেড়ে ৭ গিগাবাইট অরাস এক্স৮৭০ ও এক্স৮৭০ই মাদারবোর্ড: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তি দিয়ে কম্পিউটিংয়ের নতুন যুগের সূচনা উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিউলী রোজা শিক্ষক শিক্ষার্থীদর মেরুদণ্ড, আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস পলিথিন বন্ধে অধিদপ্তর-ম্যাজিস্ট্রেট মিলে টিম হচ্ছে উপস্থাপক হিসেবে হাজির হচ্ছেন অপু বিশ্বাস ১৮ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা বিপিএলে সাকিবের খেলা নিয়ে যা বলছে রংপুর বাংলাদেশের সোনার খনি হচ্ছে ইলিশ সম্পদ : ফরিদা আখতার টাকায় থাকবে না শেখ মুজিবের ছবি, নতুন নোট নকশার প্রস্তাব সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক অমিতাভের নতুন কাজে পূজা চেরি আক্কেলপুরে সবুজে ছেয়ে গেছে আমনের বিস্তীর্ণ মাঠ পাইকগাছায় বাড়ির মালিক ও রাজমিস্ত্রীর বউ বদল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন পাইকগাছায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নান্দাইল সাংবাদিক সমিতি(বাসাস) কমিটি গঠিত সভাপতি খসরু ও সম্পাদক হাবিব প্রশাসনের মধ্যে ‘স্বৈরাচারের ভূত’ বসে আছে : বিএনপি সাতক্ষীরা সীমান্তে শুটারগান ও গুলি উদ্ধার ঘাটাইলে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত টানা বৃষ্টিতে ফের ডুবছে নোয়াখালী, পানিবন্দি ১২ লাখ মানুষ মুরাদনগরে সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন করিম সরকার স্ত্রী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে শরণখোলায় দূর্গা পূজা পালন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল অবহেলিত থাকবে না : ক্রীড়া উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র ৭ দিনের রিমান্ডে সাতক্ষীরা ডে নাইট কলেজের সভাপতি হলেন শেখ তারিকুল হাসান খানসামায় স্ত্রীর দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুল ছাত্রী প্রেমিকার অনশন

গ্রামীণ জনজীবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী বেত ও বাঁশ শিল্প

মানছুর রহমান জাহিদ,পাইকগাছা
শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৫৮ অপরাহ্ন

গ্রামীণ জনপদে একটা সময় বাঁশঝাড় ছিলনা এমনটা কখনও কল্পনাও করা যেতো না। যেখানে গ্রাম সেখানেই ছিলো বাঁশঝাড় আর বেত। কিন্তু বর্তমানে জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প।
এক সময় গ্রামীণ জনপদে তৈরি হতো বাঁশ ও বেতের হাজারো পণ্য সামগ্রী।

বাড়ির পাশে কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ কেটে গৃহিণীরা তৈরী করতেন হরেক রকম জিনিস। অনেকে এ দিয়ে আবার জীবিকাও নির্বাহ করতো। বর্তমানে এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই বাপ-দাদার আমলের পেশা ত্যাগ করে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। একটা সময় বাঁশ ও বেতের তৈরি জিনিসের কদর ছিল অনেক। চেয়ার, টেবিল, বইয়ের সেল্ফ, মোড়া, কুলা, ঝুড়ি, ডোল, চাটাই থেকে শুরু করে এমনকি ড্রইং রুমের আসবাবপত্র তৈরিতেও বাঁশ ও বেত ব্যবহার করা হতো।

এ ছাড়াও মাছ ধরার পলো, হাঁস, মুরগীর খাঁচা, শিশুদের ঘুম পাড়ানোর দোলনা এখনো গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্নস্থানে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। একটা সময় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল পরিমাণে এসব বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়ে যেতো। এখন সচরাচর গ্রামীণ উৎসব বা মেলাতেও বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি উন্নতমানের খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, দোয়াড়, আড়ি, টোনা, আড়, হাপটা, মোড়া, বুকসেলফ চোখে পড়ে খুবই কম।

প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সুবিধা যেমন হাত পাখার চাহিদা কমিয়েছে তেমনি মৎস্য শিকার, চাষাবাদ, ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র সকল ক্ষেত্রেই কমেছে বাঁশ আর বেত জাতীয় হস্তশিল্পের কদর। প্রকৃতপক্ষে বাঁশ বেতের স্থান অনেকটাই প্লাস্টিক সামগ্রী দখল করে নিয়েছে। তাছাড়া এখন বাঁশ ও বেতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এর দামও বেড়ে গেছে। ফলে বাঁশ ও বেতের সামগ্রীর ব্যয়ও বেশি হচ্ছে।

সৌখিন মানুষ ঘরে বাঙালির ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য বাঁশ বেতের সামগ্রী বেশি দাম দিয়ে কিনলেও মূলত ব্যবহারকারীরা বেশি দাম দিতে চান না। স্বল্প আয়ের মানুষেরা সমিতি বা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে বাঁশ ও বেতজাত দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করলেও এতে তাদের খরচ পোষায় না। এর ফলে তারা অন্য পেশায় আকৃষ্ট হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে বাঁশ ও বেতের সামগ্রী যারা তৈরি করছে তাদেরকে সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও’র সহায়তা করা অত্যন্ত জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল। বাংলার ঐতিহ্য বাঁশ ও বেতের সামগ্রীকে টিকিয়ে রাখতে হলে এর পেছনের মানুষগুলোকে আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে তাদের পেশাকে বাঁচাতে হবে। প্রয়োজন হলে এদের বিনা সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এসব সুন্দর বাঁশ ও বেতের হস্তশিল্প একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বাঁশ ও বেত শিল্পকে বাঁচাতে আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত বলেও দাবি করেন সচেতন মহল।


এই বিভাগের আরো খবর