টাংগাইলর ঘাটাইল উপজেলার ৪ নং লোকেরপাড়া ইউনিয়নের নলছোপা, চরবিরসিংহ, ও বলমআটা গ্রামের প্রধান রাস্তাটি দিন দিন নদী ভাঙ্গনের শিকার। জানা যায়,২০১৭ সালে প্রথম ভাঙ্গনটি শুরু হয়, এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি। কোনরকম রাস্তার মেরামতের কাজ হলেও কিছুদিন পরেই আবার পুনরায় ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।
তবুও সঠিক কোন সমাধান হয়নি। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। নলছোপা চরবীরসিংহ ও বলমআটা গ্রামের প্রধান রাস্তা হওয়ায় এই গ্রাম গুলোর সকল অটো- রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন এবং গ্রামের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। শুধু তাই নয় চারটি মসজিদ ,একটি মাদ্রাসা ,দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান সড়ক এটি।
নলছোপা গ্রামের আব্দুল হামিদ “দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনকে” জানান, আমাদের চারটি গ্রামের কৃষি পণ্য, এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের একমাত্র চলাচলের রাস্তায় এটি। এই রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের খুব সমস্যায় পড়েছি আমরা অতি দ্রুত এর সমাধান চাই।
কে নাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন বলেন, গতবছর এই ভাঙা রাস্তা পাড়ি দেওয়ার সময় একজন সাইকেল আরোহী নদীতে পড়ে গিয়েছিল, তারপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা চাই না এইভাবে আর কোন গ্রামবাসীর মৃত্যু হোক।
শুধু তাই নয়,চারটি মসজিদ ,একটি মাদ্রাসা ,দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান এই সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবি অতি দ্রুত যেন এই রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করা হয়।
মো. ফরিদ মিয়া বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। আর আমাদের কৃষি পণ্যগুলো হাটে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় অটো ভ্যান চলাচল করতে পারে না তাই এই ভাঙ্গা রাস্তা টুকু পাড়ি দিতে কৃষি পণ্য গুলো আমাদের মাথায় করে বহন করতে হয়। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমরা এই রাস্তার স্থায়ী সমাধান চাই।