চাঁদাবাজির মামলায় লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ মামলায় সমন জারির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বাদী পক্ষের আইনজীবী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার আসামিদের বিরুদ্ধে এ আদেশ প্রদান করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি হোসাইন তূর্য এবং লালমনিরহাট পৌর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক। এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর মো. হুমায়ুন কবির হিরু বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। শুনানি শেষে বিচারক মামলার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শাহজাহানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট রাতে লালমনিরহাট যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে যান হিরু। আসামিরা আগে থেকেই সেখানে ওত পেতে ছিলেন। সাঈদীর ইস্যু নিয়ে তারা হিরুর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তাকে শায়েস্তা করতে সেখানে যান তারা। হিরুকে একা পেয়ে সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যরা ঘিরে ধরেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা চান। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হিরুর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। রডটি তার ঘাড়ে গিয়ে লাগে।
এরপর আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে হাতে। সেখানে দেখা যায়, বাদী মো. হুমায়ুন কবির হিরুকে আসামিরা ঘিরে ধরে মারধর করছেন। হিরু চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে জোর করে ধরে পেটানো হয়। সেসময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করেন।