পটুয়াখালীর দশমিনায় বিটিসিএল ভবনের ভিতর থেকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক টাওয়ারের লাখ টাকা মূল্যের ব্যাটারি চুরি করার সময় ইমরান হোসেন নামের এক চোরকে হাতে নাতে আটক করেছেন উপজেলা ছাত্রদল নেতা আবুল বশার। এ সময় আরও অজ্ঞাত ২/৩ জন চোর পালিয়ে যায়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা সদরের টি অ্যান্ড টি এলাকায় বিটিসিএল ভবন সংলগ্ন উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আটক চোর ইমরান হোসেন (২৮) উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উত্তর চরহোসনাবাদ গ্রামের মৃত আলমগীর সিকদারের ছেলে। পুলিশ জানায়, সে একাধিক মাদক মামলার আসামী।
জানা যায়, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দশমিনা সরকারি এআরটি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও দশমিনা উপজেলা ছাত্রদল নেতা আবুল বশার দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মীসহ বাজার থেকে নিজ বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন। টি অ্যান্ড টি এলাকায় পৌঁছালে নির্জন বিটিসিএল ভবনের উত্তর পাশে লোকজনের শব্দ টের পান। শব্দ শুনে তাদের সন্দেহ হলে ওই ভবনের উত্তর পাশে ফাঁকা জায়গায় গেলে অজ্ঞাত তিন জন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় হাতেনাতে টাওয়ারের একটি ব্যাটারিসহ ইমরানকে আটক করেন ছাত্রদলের ওই নেতা।
এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১ টি ব্যাটারিসহ ইমরানকে হেফাজতে নেয়। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ভবনটির উত্তর পাশের জানালা ভাঙা দেখতে পায়। ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে চুরি করে নামিয়ে ওই ভাঙা জানালার উপড়ে রাখা আরও তিনটি ব্যাটারি পায় তারা। এসময় প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের ওই ব্যাটারি চারটি জব্দ করে পুলিশ।
বিটিসিএলের পটুয়াখালী ব্যবস্থাপক (টেলিকম) সাফিন আল আসাদ গণমাধ্যমকে বলেন, দশমিনা উপজেলায় বিটিসিএলের কারিগরি কার্যক্রম চালু থাকলেও জনবল সংকটের কারণে ওই ভবনে কোনো স্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারি থাকেন না। ক্যাজুয়াল স্টাফ (অস্থায়ী কর্মচারি) হিসেবে খন্দকার ইমাম হোসেন নামের একজনকে দেখশুনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে টেলিটক টাওয়ারে ব্যাকআপ দিতে ওই ভবনের মধ্যে রাখা মোট ৪৮ টি ব্যাটারির মধ্যে ২৮টি ব্যাটারিই পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি ২০ হাজার করে চুরি হওয়া মোট ২৮ টি ব্যাটারির মূল্য রয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে দশমিনা থানায় মামলা দায়ের করেছি।
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা রুজু করে গ্রেফতার আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকী চোরদের গ্রেফতার ও ব্যাটারি উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।