অনলাইন ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার উকিল পাড়ায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে একটি বাড়িতে র্যাবের অভিযানের সন্দেহভাজন ৪ জঙ্গি বেরিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
আত্মসমর্পণ করা ৪ জন হলেন- কিরন ওরফে শামিম (২২), পাবনার সাথিয়া থানার নাইমুল ইসলাম, দিনাজপুরের আতিয়ার হোসেন ও সাতক্ষীরার আমিনুল ইসলাম। এদের সবাই ছাত্র।
আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে।
অভিযানের মাঝে ৪ জন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মসমর্পণ করার পর ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জিহাদি প্রশিক্ষণ বইপুস্তক, দু’টি বিদেশি পিস্তল, ও বোমা তৈরির বেশ কিছু সারঞ্জম উদ্ধার করার কথা জানায় র্যাব।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থলের পাশে সকাল ১১টার দিকে র্যাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হয়।
এ সময় সেখানে র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মোস্তফা সরোয়ার এবং আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫ নভেম্বর শাহজাদপুরের শেরখালি উকিল পাড়ায় প্রকৌশলী শামসুল হক রাজার (শিক্ষক ফজলুল হক সাহেবের বাড়ি সংলগ্ন) বাড়িটি ছাত্র পরিচয়ে ভাড়া করে ওই চার যুবক।
পরে তারা সেখানে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জঙ্গিকে আটক করা হয়।
এদের মধ্যে নব্য জেএমবির রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান মাহমুদও রয়েছে।
আটকের পর তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে শাহজাদপুরের উকিল পাড়ায় একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান নামে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাড়িটি ঘিরে রাখার সময় জঙ্গিরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এ অবস্থায় বাড়িটির ভেতরে বড় ধরনের অস্ত্রের মজুদ আছে- এমন সন্দেহে জোরালো অভিযানের প্রস্তুতি নেয় র্যাব।
পরে সদর দপ্তর থেকে র্যাবের বোমা ডিসপোসাল ইউনিটসহ বেশ কয়েকটি দল অভিযানে যুক্ত হয়।