মনির হোসেন, নবীনগর থেকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে ভাটা নদীর ওপর জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন উপজেলার ৭টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। প্রায়ই সাঁকো থেকে পর ঘটছে দুঘর্টনা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী ওই সাঁকো থেকে পরে আহতও হয়েছেন। প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা এই সাঁকোটি ওই এলাকার ৭ গ্রামের প্রায় ২ লাখ মানুষের নবীনগরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হযরত ওয়ালীশাহ মাজার শরীফসহ একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ওই এলাকায়।
এলাকাবাসী জানায়, স্বাধীনতার আগে ও পরে নৌ-যোগে পারাপার হলেও প্রায় ৩০ বছর ধরে এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো জীবন ও জীবিকার তাগিদে নিজস্ব অথার্য়নে প্রতিবছরই এই সাঁকোটি তৈরি করে চলাচল করছেন। এই সাঁকোটি তৈরি করতে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে সাঁকো তৈরি ও মেরামতের কাজ করা হয়। তবে শুরুর দিকে সাঁকোটির দৈর্ঘ্য ৩০০ মিটার থাকলে বর্তমানে সাঁকোর আশেপাশে মাটি ভরাটের ফলে তা দুইশ মিটার হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সাঁকোর পরিবর্তে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে ওই এলাকার জনসাধারণের যেমন সুবিধা হতো, তেমনি কোমলমতি বিদ্যায়ল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বয়ঃবৃদ্ধরা বেঁচে যেতেন নানা অনাকঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে।
এ ব্যাপারে পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যে বিগত সময়সহ বেশ কয়েকবার এই সেতুটি নির্মাণের আবেদন করা হলেও এ পর্যন্ত কাঙ্খিত সেই সেতুর মুখ এলাকাবাসী দেখেনি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির জানান, এটা সহ উপজেলার আরও ১৬টি সেতুর অনুমোদনের জন্য আমাদের এমপি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। আশা করছি অতি দ্রুত সেতুটি অনুমোদন পাবে।
