শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা কাগজে-কলমে প্রথম শ্রেণির হলেও নাগরিক সেবার দিক থেকে একেবারেই পিছিয়ে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পৌর এলাকার সড়কগুলোতে জল জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বছরের পর বছর জলাবদ্ধতা আর ভাঙাচোরা রাস্তায় কাঁদা জল মাড়িয়ে চলাই যেন তাদের নিয়তি।
জলনিষ্কাশনের নালাটি বেশির ভাগ ময়লায় ভরাট হয়ে আছে। এ কারণে নালা থেকে জল নামতে পারছে না। কিন্তু এ বিষয়ে পৌরসভার নজরদারির অভাব রয়েছে বলে মনে কেরছেন স্থানীয় পৌরবাসী ।
বৃষ্টির জলে মাওনা চৌরাস্তার নিষ্কাশনের ক্ষেত্রগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে পৌর সভার পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা যায়।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের (মাওনা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে) এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া মাওনা চৌরাস্তার ওভার বিজ্রের দু পাশে জল জমে রাস্তা ও বাড়ির প্রধান ফটক ডুবে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন পৌর এলাকার বাসিসহ স্থানীয় হাজারো জনতা। জলাবদ্ধতা থেকে পৌরবাসীকে মুক্তি দিতে নিজ উদ্যোগে নালা পরিষ্কার করে পুরাতন পাইপের সঙ্গে জল নিনিষ্কাশনের জন্য একটি নতুন পাইপ যুক্ত করে দিয়েছেন গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,৮ নং ওয়ার্ডটি পৌরসভার একটি জনবহুল একটি এলাকা। এ সব মহল¬ায় চলাচলের রাস্তার পাশ দিয়ে জলনিষ্কাশনের দীর্ঘ নালা তৈরি করেছে পৌরসভা। কিন্তু নালার বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে থাকায় জল নিষ্কাশিত হতে পারছে না। এ কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল আলম রবিন বলেন দীর্ঘদিন ধরেই জলাবদ্ধতার সমস্যা হচ্ছে। বর্ষা আসে আবার চলে যায় কিন্তু এর স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না ।
ভারী বৃষ্টি হলেই জল নামতে ৫-৭ ঘণ্টা সময় লাগে। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন জলাবদ্ধতা পৌরসভার অনেক বছরের সমস্যা।
তাই শনিবার (২৬ জুন) পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের (মাওনা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে) জলনিষ্কাশনের নালাটি নিজ উদ্যেগে পরিষ্কার করে নতুন একটি পাইপ স্থাপন করে দিয়েছি ।
যারা গত নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কিংবা এ অঞ্চলে বসবাসকারী বিত্তবান মানুষ আছেন সবার প্রতি অনুরোধ মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানুষ আপনাকে মনে রাখবে, হৃদয়ে স্থান দিবে। আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো সারা জীবন।