আব্দুর রহমান বুলবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের অন্তর্গত প্রেসিডেন্ট সড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে হেলিপ্যাড-সাতপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক মাটি বোঝাই ট্রাক্টর চলাচলের কারনে চলাচলের অযোগ্য আর ধুলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সড়কের ওই অংশ সংলগ্ন গ্রামবাসীর জনজীবন। দিনের বেলায় ১০/১২টি ট্রাক্টর সড়কটি দিয়ে চলাচল করে।রাতে ২০ টার অধিক ট্রাক্টর এই সড়ক দিয়ে মাটি বহন করে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাতপাড়া থেকে প্রেসিডেন্ট সড়ক পর্যন্ত সড়কটি সংস্করণ করার বছর না পার হতেই মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকার দাপটে কার্পেট উঠে সড়কের মাঝখান থেকে ফাটল ধরেছে।সড়েকের কিনারা ভেঙ্গে মাটি উদাও হয়ে গেছে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে এসব ট্রাক্টর চলাচলের অভিযোগ উঠেছে।এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকায় নির্মিত সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সড়ক সংলগ্ন তুলাবাড়ি,সাতপাড়া ও আনন্দপুর গ্রামের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা বলেন,বাঁধা দিলে বলে আমরা রাস্তা বেঁধে দেব।দালালরা টাকা খাইতেছে।এই এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান সব হাত করে ফেলছে তারা।ট্রাক দিয়ে মাটি নিতে বাঁধা দিলে এক বৃদ্ধকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।এসব সিন্ডিকেটওয়ালারা খুব শক্তিশালী। ভেকু ও মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের পরিচালনাকারী সুলতান মিয়া বলেন,৬ টা গাড়ি চলতাছে।আরো ৪/৫ দিন চলবে গাড়ি।দিনের বেলায় ভেকু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রাতে চালাইতেছি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সাতপাড়া গ্রামের মেম্বার মো.আলামিন বলেন, সুলতান সহ জড়িত আরো কয়েকজনকে পরশু দিন ও ২/৪ দিন আগে নিষেধ করে বলেছি তাদের মাটির ব্যবসার জন্য সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। সুলতান মিয়া, বাশার মিয়া, সিরাজ মেম্বার,আমিনুল ইসলাম আমিন, বিল্লাল খা, হাসেন, ফরিদ মেম্বার সিন্ডিকেট ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন,১ সপ্তাহ যাবৎ মাটি বহনকারী এসব ট্রাক চলতাছে। আমি বারবার বাঁধা দিছি কিন্তু যুবলীগের কিছু নেতারা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রশাসনকেও বারবার বলা হয়েছে।সাতপাড়ার লোকজন, ফালু মেম্বার, বিল্লাল সহ এই ৫/৭ জন এটার সঙ্গে জড়িত। তিনি আরো বলেন,এখানে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ও জড়িত।আমার ইউনিয়নের প্রায় ২০/২৫ জন এটার সঙ্গে জড়িত। আপনি যেই লোকগুলো বলছেন এরা সম্পৃক্ত এই ব্যবসার সঙ্গে। এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ আলম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান মেম্বাররা এসব রাস্তা রক্ষা করার দায়িত্ব।কেউ যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে ব্যবস্থা নেবো।