অনলাইন ডেস্ক : ঢাকার চার পাশের নদীগুলোর ওপরে যেসব ব্রিজ নৌ-চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে, সেগুলোকে ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার চার পাশের নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বাড়ানোর জন্য গঠিত মাস্টার প্ল্যান কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য সরকার গঠিত মাস্টার প্ল্যান কমিটির সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিসহ যেসব মন্ত্রণালয় অথবা অধিপ্তর থেকে ঢাকার চার পাশের নদ-নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো নৌচলাচলে সমস্যা করছে, এ সব ব্রিজ ভেঙে নৌচলাচলের উপযোগী করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পগুলোতে অব্যবস্থাপনা দূর করাসহ সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কাজ করার কোনও বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গৃহীত প্রকল্পের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সব প্রকল্পগুলো প্রণীত মাস্টার প্ল্যানের অধীনে আনা হবে।
ঢাকার চার পাশে নদীর ৯০ শতাংশ দখলমুক্ত হয়েছে এবং কিছু জায়গায় মসজিদ, মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় জটিলতা আছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির কাজ ধীর গতি এসেছে। অবৈধভাবে যে কেউ নদ-নদী, খাল-বিল দখল করে রাখুক না কেন, তাদের উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে চিহ্নিত খালগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সংযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য দুই পাশে ওয়াকওয়ে এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। মাস্টার প্ল্যানের সময়সীমা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মাস্টার প্ল্যানের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ১০ বছর মেয়াদি এ প্ল্যানের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয়মন্ত্রী জানান, ঢাকার চার পাশের নদীগুলো নিয়ে করা মহাপরিকল্পনার (মাস্টার প্ল্যান) বিষয়ে সিটি করপোরেশনের ভিন্নমত নিষ্পত্তিতে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হবে।
মাস্টার প্ল্যানের চাহিদা মোতাবেক সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ভিন্নমত নিষ্পত্তি করার জন্য কয়েকটি কমিটি করার কথা আলোচনা হয়েছে। আলোচনা করে আমরা কমিটি গঠন করে দেবো। আর কোথায় কী প্রকল্প আছে এবং কোথায় কোন প্রকল্প প্রয়োজন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
