সাফায়েত হোসেন, দশমিনা থেকে:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার তিনজন মা তাদের মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগকারী ভাতা ভোগীরা হচ্ছেন উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়াপুর গ্রামের মস্তফা দালালের মেয়ে আয়শা মনি, একই ইউনিয়নের জৌতা গ্রামের মোঃ হারুন আকন এর মেয়ে মোসাম্মৎ লিমা বেগম এবং একই এলাকার আঃ হক এর মেয়ে মোসাঃ ফাতেমা বেগম। লিখিত অভিযোগে তারা জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তাদের নাম মাতৃত্বকালীন ভাতায় চূড়ান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। অভিযোগকারী ভাতাভোগীদের মোট ২৫ হাজার ২০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও এক কিস্তিতে নয় হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে তাদের ভাতার বই ও চেক বই মহিলা বিষয়ক অফিস কর্তৃপক্ষ রেখে দেয়। পরে তাদের মাসের পর মাস টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও আর কোন টাকা দেওয়া হয়নি। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় এরকম শতাধিক নারীর মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তর। দশমিনা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পালোয়ান জানান,মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের শতাধিক ঘটনা ঘটেছে এবং অনেকে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন বিষয়টি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানান, আমার অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ইখতিয়ার আহমেদ এর বিরুদ্ধে আমার কাছে অনেকে ভাতা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এব্যপারে দশমিনা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ইখতিয়ার হোসাইন মুঠোফোনে জানান, তিনি অসুস্থ ১৫ দিন পর্যন্ত ছুটিতে আছেন তবে ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনা অস্বীকার করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
