শফিকুল ইসলাম, নাগেশ্বরী থেকে
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অবিরাম ভারী বর্ষন আর উজানের ঢলে নদ নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে দুধকুমর নদির ত্রীব্র ভাঙ্গনে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট ,ফসলি জমি, বসতভিটা ও স্বপ্ন সুখের সংসার। পরিবারের পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশেষ করে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নটির শতশত পরিবারের বাড়ীঘড় ফসলী জমি ফুলকুমর ও দুধকুমর নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে আরও কয়েকটি ছোট ছোট গ্রাম। ভিটা মাঠি হারিয়ে নিশ্ব শতশত পরিবার। বেরিবাধেও রক্ষা পাচ্ছেনা ইউনিয়নবাসী, ভেঙ্গে ছিরে যাচ্ছে বেড়ীবাধ, তলিয়ে গেছে আমন ধানের ক্ষেত। মাথা গুজার শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে বিপাকে পরেছে অনেকে।
অব্যাহত দুধকুমর নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী, বল্লভেরখাস, নুনখাওয়া, কালিগঞ্জ, নারায়নপুর ৬ ইউনিয়নের বসতভিটা হারিয়ে নি:শ্ব হওয়ার পথে শতশত খেটে খাওয়াসহ সাধারণ মানুষ । দির্ঘ কয়েকদিন থেকে পানি বৃদ্দি পাওয়ায় দুধকুমর নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে শতশত বিঘা ফসলি জমি, গাছের বাগান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাট, বাশঝার, এবং বাড়ীঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বৃষ্টি কমে গেলেও কমেনি ভাঙ্গন ,ভাঙ্গন ঠেকাতে আনছারের হাট এলকায় কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেললেও তা পানির তীব্র স্রোতে ভেষে যাচ্ছে বলে জানান তারা । হমকির মুখে বামনডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বামনডাঙ্গা নাছের মামুদ দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়সহ ছোট ছোট কয়েকটি গ্রাম, সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় সরদাদের ভিটা এলাকায় ভাঙ্গনের মহুত্বে বাড়ী ঘরের আসবাব পত্র গাছ ও বাশঝার কেটে নিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিতে ব্যস্তসময় কাটাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা। ফলে দ্রত ভাঙ্গন রোধে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ নির্মানের দাবী জানান স্থানিয়রা।
যদি নদী ভাঙ্গন রোধ করা না যায় তবে আব্যহত ভাঙ্গনের ফলে এলাকা মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আশংকা রয়েছে । তাই পৌরসভাসহ দুধকুমর নদী সংল্গন ইউনিয়নকে রক্ষা করতে স্থায়ী ভাবে বেরিবাধ অতি জরুরী প্রয়োজন বলে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কছে জোর দাবী জানান বেরুবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন।
