রনি মন্ডল, গোয়ালন্দ থেকে
দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত ও রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। বুধবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের দীর্ঘ চাপ বাড়তে থাকে। দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যানালঘাট পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসের দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরিফে বুধবার উরশ ফেরত বাসের কারনেই এই যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে ফেরি পর্যাপ্ত থাকলেও ঘাট স্বল্পতার কারনে ফেরি লোড-আনলোডে সময় বেশি চলে যায়।
বুধবার সরেজমিম দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার পাঁচটি ঘাটের ৫ ও ৭ নম্বর ঘাটে ছোট ও বড় ফেরি ভীড়ার ব্যাবস্থা রয়েছে। বাকি ৩ টি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাট ভি.আই.পি দের পারাপার ও বাকি দুটি ঘাটে শুধুমাত্র ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
বেনাপোল থেকে লোহার কুচি বোঝাই করে ঢাকা ডেমড়া গামী ট্রাক চালক মো. সাহেব আলি বলেন, আমি বেনাপোল থেকে বুধবারখুব ভোরর সকালেই ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেরে আসি। গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় গাড়ির লাইন না থাকায় সরাসরি ঘাটে দৌলতদিয়া ঘাটে আসি।কিন্তু সকাল ৯টার পরে হঠাৎই ফরিদপুর আটরশি দরবারের গাড়ি আসায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির লাইন পরে যায়।লাইনে থেকেই ধীরে ধীরে ফেরি ঘাটের দিকে আগেচ্ছেন বলে তিনি জানান।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যাবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, বুধবার ফরিদপুর আটরশি দরবার ফেরত বাসের কারনেই যানবাহনের সিরিয়াল পরে যায়। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় দ্রুতই যানবাহন গুলো পারাপার হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোটবড় মিলিয়ে মোট ১৯ টি ফেরী চলাচল করছে।