বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শ্রীপুরে লিচুর বাগানে মৌমাছি চাষে লাভবান খামারি ও চাষিরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী প্রভাষক এম সুশান্তের গণসংযোগ নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদাকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সম্মাননা দশমিনায় মৎস্য ও নৌপুলিশের অভিযানে অবৈধ বাঁধা জাল জব্দ পাইকগাছায় দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত তাড়াশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত মহান স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের শ্রদ্ধা স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণা জানাতে গণহত্যার নির্মমতা সামনে আনতে হবে পাইকগাছায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস চারদিনের সফরে আসছেন ভুটানের রাজা, তিনটি চুক্তির সম্ভাবনা মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গাজায় হত্যাকান্ড বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক : প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়: ওবায়দুল কাদের পাইকগাছায় এমপি রশীদুজ্জামানের জন্মদিন উপলক্ষে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠান অবশেষে ত্রিশালের আলোচিত কাটা রাস্তা ভরাট চোখের আলো ফিরে পেতেচায় স্কুল ছাত্রী রোবিনা সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে’ রূপান্তরিত করা হবে : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সেনাবাহিনীর আন্তঃ অঞ্চল আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনায় নতুন আক্রান্ত ৪২ জন, শনাক্তের হার বেড়ে ৬.১১ শতাংশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে : শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনে যেসব সংকট বাড়ছে তার অন্যতম ব্যবহারযোগ্য পানি : জাহিদ ফারুক ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : ওবায়দুল কাদের ‌‘দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে বিএনপি জামায়াত অশান্তি বোধ করে’ লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৯ জেলেকে জরিমানা সব ফলের দাম বেশি, কেজির বদলে এক-দুই পিস কিনছেন অনেকে তাড়াশে জমে উঠছে ঈদবাজার যেভাবে রেলের টিকিট সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন সহজ ডটকমের পিয়ন মিজান

ধামাকায় তিন লাখ গ্রাহকের ৭৫০ কোটি টাকা বকেয়া

অনলাইন ডেস্ক :
বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন

ডেস্ক রিপোর্ট: ছিল না অনুমোদন ও লাইসেন্স। নেই নিজস্ব কোন ব্যাংক একাউন্ট। অন্যের একাউন্টে করা হতো লেনদেন। ব্যবসা পরিচালনায় ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে ব্যবসায়িক লেনদেন করেছে ‘ধামাকা’। এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া ধামাকা ডিজিটাল ২০২০ থেকে ধামাকা শপিং ডটকম নামে কার্যক্রম শুরু করে। বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে ওই একাউন্টে রয়েছে মাত্র লাখখানেক টাকা।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কারসাজির মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। যা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। অনিয়মের অভিযোগ উঠায় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া বিভিন্ন আলোচনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসলে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন।

র‌্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার প্রতিষ্ঠানটির তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার বিভিন্ন বিষয়াদি ও কৌশল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার সিরাজুল ইসলাম রানা ধামাকার সিওও, আর ইমতিয়াজ হাসান সবুজ মোবাইল ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইলের ক্যাটাগরি হেড এবং ইব্রাহীম স্বপন ক্যাটাগরি হেড (ইলেক্ট্রনিক্স)।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ধামাকা ডিজিটাল যাত্রা শুরু করে। ২০২০ হতে ধামাকা শপিং ডটকম নামে কার্যক্রম শুরু করে তারা। গ্রেফতাররা ২০২০ সাল হতে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। গত বছরের অক্টোবর হতে প্রতিষ্ঠানটি নেতিবাচক এগ্রেসিভ স্ট্র্যাটিজি নিয়ে মাঠে নামে।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান বলেন, ধামাকার কোনো প্রকার অনুমোদন ও লাইসেন্স নেই। এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তাদের। বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে তাদের একাউন্টে মাত্র লাখখানেক টাকা রয়েছে। সেলার বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮০-১৯০ কোটি টাকা, কাস্টমার বকেয়া ১৫০ কোটি টাকা এবং কাস্টমার রিফান্ড চেক বকেয়া ৩৫-৪০ কোটি টাকা।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছেন, আর্থিক সংকটের কারণে গত কয়েক মাস ধরে প্রতিষ্ঠানের অফিস এবং ডিপো ভাড়া বকেয়া রয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরের জুন মাস থেকে বকেয়া রয়েছে কর্মচারীদের বেতন। চলতি বছরের গত এপ্রিল থেকে ধামাকা শপিং ডটকম অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কারণে জুলাই হতে সব কার্যক্রম বন্ধ।

ধামাকার ব্যবসায়িক অবকাঠামো সম্পর্কে কমান্ডার মঈন বলেন, রাজধানীর মহাখালীতে তাদের প্রধান কার্যালয় এবং তেজগাঁও বটতলা মোড়ে একটি ডেলিভারি হাব রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৬০০টি ব্যবসায়িক চেইন রয়েছে। এর মধ্যে নামিদামি প্রতিষ্ঠানের নামও উঠে এসেছে।

ধামাকা শপিং ডটকম ছাড়াও তাদের আরও কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড, মাইক্রোট্রেড ফুড এবং বেভারেজ লিমিটেড এবং মাইক্রোট্রেড আইসিক্স লিমিটেড ইত্যাদি। মূলত প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য তৈরিকারক ও গ্রাহক চেইন বা নেটওয়ার্ক থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।

এছাড়া হোল্ড মানি প্রসেস প্ল্যান, অর্থাৎ গ্রাহক ও সরবরাহকারীর টাকা আটকিয়ে অর্থ সরিয়ে ফেলা ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য। বিশাল অফার, ছাড়ের ছড়াছড়ি আর নানা অফার দিয়ে সাধারণ জনগণকে প্রলুব্ধ করা হতো।

ধামাকা শপিং এর গ্রাহক সংখ্যা ৩ লক্ষাধিক। মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, বাইক, গৃহস্থলীপণ্য ও ফার্নিচার বিভিন্ন অফারে বিক্রি করা হতো।

অফারগুলোর মধ্যে সিগনেচার কার্ড ২০-৩০ শতাংশ, ধামাকা নাইটে ৫০ শতাংশ, রেগুলারে ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হতো।

সিগনেচার কার্ড অফারটি গত মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত পরিচালনা করা হয়। মাত্র ২০ শতাংশ পণ্য সরবরাহ করে অর্থ সরিয়ে গ্রাহকদের চেক প্রদান করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে সব অর্থ সরিয়ে ফেলা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ব্যবসায়িক কাজে ধামাকা শপিং ডটকম ইনভেনটরি জিরো মডেল এবং হোল্ড মানি প্রসেস প্লান ফলো করত। কয়েকটি দেশি-বিদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফারের আলোকে তাদের ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছিল না।

এতোদিন ধরে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কীভাবে ব্যবসা করে আসছে জানতে চাইলে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অক্টোবর মাস থেকে তারা এগ্রেসিভ বিজনেসে যায়। ধামাকা খুব অল্প সময়েই মোটা অঙ্কের অর্থ সরিয়ে ফেলে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ১৪টি একাউন্ট ফ্রিজ করে। সিআইডির তদন্তে উঠে আসে অস্বচ্ছতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বানিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করছে। যাদের বিরুদ্ধেই মামলা হচ্ছে, তারা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গ্রাহকের ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অথচ এখন ধামাকার একাউন্টে মাত্র লাখখানেক টাকা। বাকি টাকা কোথায় গেলো জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ধামাকার ট্রেড লাইসেন্স নেই। সাধারণ গ্রাহকরা যে টাকা দিয়েছে তা গেছে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকমের একাউন্টে। ধামাকার আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে। সেসব ব্যবসায় সেই টাকা স্থানান্তর হয়েছে। টাকা আসলে কোথায় গেলো তা মানি লন্ডারিং পর্যায়ে পড়েছে কি না তা খুব শিগগিরই বেড়িয়ে আসবে। মূলহোতা জসিম উদ্দিন চিশতির নিজস্ব সম্পদ রয়েছে আড়াইশ’ কোটি টাকার ওপরে। সেখানেও ধামাকার গ্রাহকদের টাকা যেতে পারে।

ধামাকার প্রতারণার মূলহোতা জসিম উদ্দিন চিশতি কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি পলাতক। আমরা জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারদের মাধ্যমে জেনেছি তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। তাকেসহ অন্যান্য আসামিদের খুঁজছি।


এই বিভাগের আরো খবর