ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ময়ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তা গোল চত্বরের কিশোরগঞ্জ রাস্তায় প্রায় তিনশ মিটার সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বর্ষাকালে গর্তে কাদাপানি জমে যানবাহন আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ফলে যানবাহন সহ যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়মই। নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা ব্যস্ততম রাস্তা ও জনগুরুত্বপূর্ন একটি বাসস্ট্যান্ড। ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ মহা সড়ক, ময়মনসিংহ-তাড়াইল সড়ক ও কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা মহাসড়ক একত্রে মিশে জায়গাটির নামাকরণ হয় নান্দাইল চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড হিসাবে। এখানে থেকে বাসে করে অনায়াসে দেশের যেকোন জায়গায় যাতায়ত করা যায়।
একারণে দিনরাত ২৪ ঘন্টায় এই বাস স্ট্যান্ডটিতে থাকে কোলাহলময়। এ বাস স্ট্যান্ডের পশ্চিম থেকে দণি দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ হাইওয়ে মহাসড়ক নান্দাইল চৌরাস্তা গোল চত্বরের ৩টি রাস্তায় প্রায় ২০০/৩০০ মিটার করে সড়কে বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্তের। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি জমে গর্তের আকার আরও বেড়ে গেছে।
কাদাপানিতে সড়কের ওই অংশটি সর্বণ কাদায় পরিপূর্ণ থাকে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রতিদিন ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করে দিলেও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে ইট সরে গিয়ে গর্তের আকার ক্রমে বড় হচ্ছে। কখনও কখনও গর্তে আটকে যাচ্ছে যানবাহন, আর এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। আজ বুধবার সরেজমিনে দেখাযায়, চৌরাস্তার দেিণ উভয় দিকে চলাচলকারী বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দীর্ঘ সময় ধরে আটকে আছে। কখনও চলাচল শুরু হলেও ধীর গতিতে কয়েক হাত যাবার পর আবারও থেমে যাচ্ছে।
একে তো যানজট তার উপর কর্দমাক্ত থাকায় পথচারীরা সড়ক ছেড়ে দুপাশে থাকা দোকানের সামনে দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে নারীদের। এক সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিককে দেখা গেল পাশে রাখা ট্রাক থেকে ইট নিয়ে বড় বড় গর্তগুলো ভরাট করার কাজ করছে। পাশে থেকে কাজ তদারক করা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মী রেজাউল হক জানান, বর্ষা শুরু থেকেই এভাবে গর্ত ভরাট করা হচ্ছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। সিএনজি চালক দীন ইসলাম ও বাস চালক হায়দার আলী জানান, মহা-সড়কের দুপাশে সড়ক ও জনপথের জায়গায় উচু করে মাটি ভরাট করে দোকানপাট তৈরী করা হয়েছে।
এতে বৃষ্টির পানি জমে অল্পদিনেই সড়কের এ অংশটি তিগ্রস্থ হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নিচু সড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গায় বেশ কয়েক বছর আগে পাকা ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মাটি খুঁড়ে নালা কাটা হলেও শেষ পর্যন্ত উদ্যোগটি কেন বাতিল হয়ে গেছে তা তারা জানেন না। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, ওইখানে ড্রেন নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাতে বাধা প্রদান করে।
বিষয়টি নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে গিয়ে রিটও করেছে। তবে সড়কের ওই অংশটুকু ঢালাই করে তৈরীর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢালাই হয়ে গেলে পরে পানি জমলেও সড়কের আর কোন সমস্যা হবেনা।