২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ সোমবার রাতে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবৈধ মৎস্য শিকার করার সময় পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌপুলিশ ফাঁড়ির যৌথ অভিযানে ৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং কাটাখালী ও চরহাদী এলাকার ১. মোঃ সায়েম প্যাদা (২০), ২. মোঃ সোহাগ হাওলাদার (২১), ৩. মোঃ সুমন প্যাদা (২৮), ৪. নুরুল ইসলাম (৩০), ৫. মোকছেদুল রাড়ী (৩৫),৬. সাইফুল ইসলাম(৩০)।
অপরদিকে সন্ধ্যা ৭ টায় আটক হন- বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামের জাবের(১৯), মাহবুব(৩৬), জলিল(৫৫), দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সোহাগ(২৭)।
মৎস্য অফিস ও নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অবরোধ সময় কালে উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবৈধ মাছ ধরার সময় অভিযান পরিচালনা করে আজ সোমবার ছয় জেলেকে আটক, ৭০ হাজার মিটার জাল ও ২শত কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
আটক ছয় জেলেকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে নিয়মিত মালা দিয়ে দশমিনা সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রটেট আদালতে প্রেরন করাহলে বিঞ্জ আাদালত ছয় জনকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। অপর চারজনকে রাত আটটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান ভ্রাম্যমাণ আাদলতের মাধ্যমে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
জব্দকৃত জাল হাজির হাট এলাকায় পুরিয়ে ফেলা হয় ও মাছ বিভন্ন মাদ্রসায় বিতরন করা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌপুলিশ ফাঁড়ির তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে সার্বক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আজ সোমবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় ৬ জেলেকে আটক, ৭০হাজার মিটার জাল ও ২শত কেজি মাছ জব্দ করা হয়। আটক ছয় জেলেকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে বিঞ্জ আাদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। এবং চারজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযান পরিচালনা করেন- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, মেরিন ফিশারিস কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, নৌপুলিশ ফাঁড়ির (এসআই) আশ্রাফ সহ সঙ্গীয় ফোর্স।