নীলফামারী প্রতিনিধি:
একটি অটোবাইকের জন্য প্রাণ গেল অটোচালক আব্দুল হালিমের। তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পা বেধে একটি গর্তে ফেলে রেখে অটোবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধ্রা করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে নীলফামারী থানা পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরনজানী ইউনিয়নের নতিব চাপড়া কোরানী পাড়ার আফসার আলীর ছেলে মধ্য বয়সী হতদরিদ্র আব্দুল হালিম দিনে মানুষের বাড়িতে কাজ করতো। আর আর্থিক স্বচ্ছতলার জন্য সন্ধ্যার পরে অটোবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো । গত রোববার সন্ধ্যার পরে অটোবাইক নিয়ে বের হওয়ার পরে রাতে আর বাড়ি ফিরেনি সে। আজ সোমবার সকালে এলাকাবাসী ঐ স্থানে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নতিব চাপড়া এলাকার আছাদুল হক ও ফজলার রহমান জানান, আব্দুল হালিমের চার মেয়ে। এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছে তিন মেয়ে লেখাপড়া করে। সংসারের খরচ চালাতে দিনে মানুষের বাড়িতে ও ক্ষেতে খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সংসারে স্বচ্ছতলার জন্য এক মাস আগে ৮০হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরাতন অটোবাইক কিনেছে। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত অটোবাইক চালিয়ে মেয়েদের বিয়ের খরচ জোগাতে বাড়তি আয় করতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় অটোবাইকটি ছিনতাই করতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে সেটি নিয়ে যায়। নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, অটোবাইকের জন্য তার বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এখনও অটো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে নীলফামারী পুলিশ সুপার, পিবিআই সুপার ও সিআইডি সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলা দায়ের হলে খুব দ্রুতই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
