নড়াইলে গৃহবধূ মর্জিনা বেগম বীথি হত্যার দায়ে তার স্বামী মো. ফোরকান উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন পিরোজপুরের তেজদাকাটি গ্রামের মৃত তোফায়েল উদ্দিন খানের ছেলে ফোরকান উদ্দিন ওরফে সাকিল খান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মর্জিনা বেগম ও ফোরকান উদ্দিন লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের খলির শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ফোরকান লক্ষ্মীপাশার মিথুন হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন।
মর্জিনার আগের ঘরের পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে ছিল। সেও তাদের সঙ্গেই থাকত।
২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর মর্জিনা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পর দিন সকালে বাড়ির মালিক খলির শেখ তার ভাড়া ঘরে মর্জিনার রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর পর ভুক্তভোগীর ছেলে মো. মোস্তাফিজুর বলেন, ফোরকান মাকে বঁটি-ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এর পর অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডি ফোরকানকে গ্রেফতার করে। সিআইডি পেনাল কোডে ৩০২ ধারায় অভিযোগ দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।