মাহিনুর বেগম, পটুয়াখালী থেকে :
পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ৮নং ওয়ার্ডে মো. হারুন সিকদারের রেকর্ডকৃত জমিতে কোনো রকম টিনসেড বসতঘর নির্মাণ করে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত শুক্রবার ২০ নভেম্বর দুপুরে পার্শ্ববর্তী হারুন হাওলাদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হারুন সিকদারের জেএল-৩৯, এস, এ, খতিয়ান নং-১৪৮, দাগ নং-১০১৯ এ নির্মিত বসতঘরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদের বসতঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরের ভেতরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় হারুন সিকদার শ্রীরামপুর ছিলেন। এঘটনার খবর পেয়ে হারুন সিকারের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা. নাজমা বেগম ৯৯৯ এ কল করে সহযোগিতা চায়। পটুয়াখালী সদর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে উল্টো হারুন সিকদারের পরিবারের উপর বসতঘর ভাঙচুরের দায় চাপিয়ে দাড়োগা মনির হারুন সিকদারের স্ত্রীকে টেনে হিচড়ে পুলিশ পিকাপে তুলে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় হারুন সিকদারকে ডেকে থানায় নিয়ে ওসি এম মোর্শেদ তাকে লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জের সময় হারুন সিকদারের ছোট স্ত্রী নামজা তার স্বামীকে লাঠি চার্জ থেকে রক্ষা করতে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাত লেকে নীলা ফুলা জখম হয়। এরপর ওসি একটি মিথ্যা লুট মামলায় হারুন সিকদার ও তার বড় স্ত্রী খাদিজাকে চালান দেয়। ওই মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়। হারুন সিকদারের অনুপস্থিতিতে রাতারাতি হারুন হাওলাদার ওই বসতঘর সহ জায়গা দখল করে বালিকা হাফিজিয়া নুরানী মাদ্রসা নামে একটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়। এদিকে হারুন সিকদারের ছোট ছোট ছেলে মেয়রা গৃহহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় সহায়তার জন্য ঘরে বেড়াচ্ছে। এঘটনায় হারুন সিকারের স্ত্রী নাজমা বেগম পটুয়াখালী পুলিশ সুপার ও প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন দফতরে ন্যায় বিচারের দাবীতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
গত রোববার হারুন সিকদার ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগম জামিনে মুক্তি পেয়ে জানান, হারুন হাওলাদারের কাছে তাদের রেকর্ডকৃত ১২২৫ নং দাগ থেকে ৬ শতাংশ জায়গা বিক্রি করে চৌহদ্দি দিয়ে ভোগদখল বুঝিয়ে দেয়। সে সেই জায়গা ভোগ দখলেও থাকে। কিন্তু সে ওই জায়গা দখলে থেকেও ১০১৯ দাগে এসে তাদের সবতঘরের জায়গা দখলের জন্য আগেও বিভিন্ন হামলা করেছে। এঘনায় হারুন হাওলাদরের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে এবং সে জেলও খেটেছে। বর্তমানে হারুন হাওলাদার শালিশ ব্যবস্থা অমান্য করে এই ভাঙচুর ও লুট কার্যক্রম চালায়। আইনের কাছে সাহায্য চাইলে আইনের লোকজন হারুর হাওলাদরের পক্ষ নিয়ে উল্টো তাদের মারধর করে চালান দিয়ে দেয়। হারুন সিকদার ও তার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেন।
