সালাহ্উদ্দিন শুভ, কমলগঞ্জ থেকে
মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী কৃষি নির্ভর কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিকভাবে কিছু অংশে মাজরা ও মাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণের পরও কমলগঞ্জে এবার আমন ধানের ভালো ফলনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি পাওয়ায় ও বন্যা না হওয়ায় আমনের সবুজ গালিচা বাতাসে দোল খাচ্ছে। জানা যায়, আমন ক্ষেতে কৃষকরা নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি করছেন। এমনকি কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। কিছু দিন পূর্বে বিশেষ করে কমলগঞ্জের পতনউষার ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের কিছু আমন ক্ষেত মাজারি ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ হয়েছিল। এসময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোকা দমনে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করায়, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা করায় ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সেসব জমির পোকা দমন সম্ভব হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর কমলগঞ্জ উপজেলার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর।কৃষকরা এবার আমন রোপনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছেন। এর মাঝে বেশীরভাগ উপশি জাতের আমন। হাইব্রীড আমন রোপন হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে। আর ১৩০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের জাতের আমন চাষ হয়েছে। এছাড়া হাইব্রীড জাতের রোপা আমন ধান,সুগন্ধ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। সরেজমিন আমন ক্ষেত এলাকা পরিদর্শণ করে বোঝা যায় আগামী দেড় মাসের মধ্যেই কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত আমন ধান কেটে ঘরে তুলবেন। কৃষক সাকির আহমেদ বলেন,‘দুই একর জমি বর্গা নিয়ে আমন ধান চাষ করেছেন। তারসহ এ এলাকার সবার মাঠের আমন ভালো চাষ হয়েছে। আগামীতে পোকার আক্রমণ ও রোগে না পায় তাহলে ধানের ফলন অনেক ভালো হবে।’ পতনউষার ইউনিয়নের কৃষক রুহেুল মিয়া বলেন, ‘তার ৪ একর জমি আছে। সময়মত পানির অভাবে তিনি আউশ ধান চাষ করতে পারেননি। তবে ৪ একর জমিতে তিনি আমন চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে তিনি আমন চাষ করেছেন। তার আমন জমিতে ভালো ফলন হবে।’ কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, বেশী ফলনের জন্য কৃষকদের উপশি ও হাইব্রীড চাষে আগ্রহ বেশী। গত কয়েক বছল ধরে স্থানীয় জাতের আমন ধানের আবাদ কমে উপশি জাতের আমন ধানের আবাদ বেড়েছে। তিনি আশাবাদী এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। অতিরিক্ত গরমে উপজেলা কিছু জমিতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ হয়েছিল। সঠিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করায় এসব পোকা দমন করা গেছে।