মাঠকে মাঠ আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে কৃষকেরা। এবছর ফরিদপুরের সালথায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সকাল থেকে সারাদিন মাঠে ধান কর্তনের কাজ করছেন কৃষকেরা, আর বাড়িতে ধান উড়ানো ও ধান পরিস্কার করে ঘরে তুলার কাজ করছেন কৃষানীরা। ফলন ভালো হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
জানা যায়, এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ১২ হাজার ২৯২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়। উফশি আমন ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ হয় এ অঞ্চলে। এবছরে ধান চাষের শুরু থেকে আবহাওয়া ছিলো ধান চাষের অনুকূলে। তাই অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
টুলু মোল্যা নামে এক কৃষক বলেন, পাটের মধ্যেদিয়ে কিছু জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়। আর পাট কাটার পর কিছু জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছিলো। এখন ধান কাটার কাজ প্রায় শেষের দিকে। আল্লাহুর রহমতে এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ধানের যে ফলন হয়েছে, তাতে মাঝারি কৃষকের বছরের খাবার হয়ে যাবে। আর কিছু কৃষকের বছরের খাবার হয়েও বিক্রি করতে পারবে।
মোশারফ হোসেন নামে আরেক কৃষক বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ধানের ফলন অনেক ভালো। যেসব বুনাধান আছে, সেগুলো বিঘাপ্রতি ২০মণ ফলন হচ্ছে। আর ধানের চারা লাগানো জমিতে বিঘাপ্রতি ৩০ মনের মতো ফলন হচ্ছে। এবারের ফলন ভালো হওয়ায় আগামী ধানের চাষ আরো বাড়ানো হবে। সেই সাথে ধানের দামটা যদি বাড়ে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন শিকদার জানান, সালথা উপজেলায় এবছর ১২ হাজার ২৯২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়। ধান আবাদের শুরু থেকে আমরা কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়েছি। আবহাওয়া ধানের অনুকূলে থাকায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। উফশি আমন হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪টন ও হাইব্রিড জাতের ধান হেক্টরপ্রতি সাড়ে ৬টন উৎপাদন হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ধান কর্তনের কাজ শেষ হবে।