ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যদিও চূড়ান্ত হয়নি তবুও আগামী বছরের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে এমনটি ধরেই ভোটারদের আস্থা অর্জনে মরিয়া হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ১৫১ ময়মনসিংহ ৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যারা রয়েছেন আখতারুল আলম ফারুক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক, মোহাম্মদ আব্দুল করিম সরকার, উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি শুরু করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় মাস্টার দা সূর্যসেন হল ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্র দল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক,কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক, সর্বশেষ ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ন সম্পাদক,যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন বর্তমান ফুলবাড়ীয়া উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য, সর্বশেষ ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য।
গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে বারবার কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ভোটাধিকার আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অর্ধশতাধিক মামলার আসামি হয়ে ফ্যাসিবাদ হটানোর সকল কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফুলবাড়ীয়া উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। , মামুনুর রশিদ মামুন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, তানভীর আহমেদ রানা উন্নয়নের রূপকার খ্যাত সাবেক সাংসদ মরহুম ইঞ্জিনিয়ার শামছউদ্দিন আহমেদ এর পুত্র।
অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলাম বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বিএনপি নেতা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব)ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বাদল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মনিরুল ইসলাম আখন্দ। অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন প্রাপ্ত জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
সারা উপজেলা জুড়ে দল দুটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে কে কার চেয়ে বেশি সাংগঠনিক তৎপরতা চালাবেন-তা নিয়ে চলছে রীতিমতো প্রতিযোগিতা। এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সেই সাথে নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতিও। নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, সভা সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত হয়ে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার আভাসও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
এদিকে মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়নি। দেশ এখন স্বৈরাচার মুক্ত। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জনগণের মধ্যে দিনে দিনে ভোট নিয়ে ক্রমান্বয়ে আগ্রহ বাড়ছে। সেই সুযোগে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের আস্থা অর্জনে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনাও রয়েছে। দল থেকে ‘ক্লিন ইমেজ’ ও জনবান্ধব নেতাদের মনোনয়নের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জনগণও ক্লিন ইমেজ ও জনবান্ধব নেতারা মনোনয়ন পাবেন-এমনটা প্রত্যাশা করছেন। এজন্য আগেভাগেই দলীয় নেতারা নির্বাচনি মাঠে তাদের কর্মপরিকল্পনার ‘ছক’ কষছেন।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে গত রমজানে বড় কোনো কর্মসূচি না থাকায় ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে কার্যত নির্বাচনি কার্যক্রম চালিয়েছে। অনেকই আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সুখ-দুঃখের খবর নিয়েছেন। মসজিদে মসজিদে নামাজ আদায়সহ মুসল্লিদের ইফতারীর ব্যবস্থা করেছে। ঈদুল আযহা উদযাপনের পর তারুণ্য উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন ইউনিয়নে ফুটবল খেলা, লাঠি খেলা ও বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যদিয়েই নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।