ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর একেএম শামসুদ্দিন বলেছেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। জেলার সকল থানা পুলিশ শূন্য রয়েছে। পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
এখন সবার আগে সুন্দর একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি প্রয়োজন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী প্রেসক্লাবে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমীর বলেন, আজকের এ অবস্থানে আসতে অসংখ্য ছাত্র শহীদ হয়েছেন। তাদের সবসময় আমরা স্মরণ করব। এ সূর্য সন্তানদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দাবি জানাব। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় তাদের জন্যও একটি ভাতা প্রক্রিয়া চালু করার দাবি জানাব। তাদের দেওয়া সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও লুটপাট বন্ধ করতে না পারলে সব ত্যাগ ভেস্তে যাবে।
দেশে এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা জামায়াতের এ নেতা বলেন, স্বৈরাচার সরকার দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। কেউ যেন আর রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। আমরা এতে ব্যর্থ হলে এতজন শিক্ষার্থীর জীবন বৃথা যাবে।
একেএম শামসুদ্দিন আরও বলেন, জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে সকল উপজেলায় টিম করে মন্দির পাহারাসহ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করছে। হিন্দুরা দেশে সংখ্যালঘু নয়। এ ধরনের কোনো শব্দ নেই। সকলে আমরা একসঙ্গে বসবাস করব। তারাও আমাদের ভাই। পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্য মন্দিরে হামলার গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনে অনেক আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হচ্ছে।
আমরা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াব। প্রত্যেক শহীদদের পরিবারের জন্য একলাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন তার বক্তব্যে বলেন, ফেনীর বাঁশপাড়া দূর্গা মন্দিরসহ জেলার কোন মন্দির বা হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেনি। বাঁশপাড়া দূর্গা মন্দিরে হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। এ ধরনের গুজবে কান না দেয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান, সহ-সেক্রেটারি আবদুর রহিম, শহর জামায়াতের আমীর মো. ইলিয়াস, শিবিরের জেলা সভাপতি ইমাম হোসেন ও শহর শিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।