জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিএনপির করা মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিতে যুবদল নেতার কাছে আর্জি জানিয়েছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী জহুরা বেগম। বিষয়টি নিয়ে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, যা আজ শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জেলাজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
ফোনালাপে শোনা যায়, মামলার তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ করছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী জহুরা বেগম। যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান তাকে আশ্বস্ত করেন এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগরের সঙ্গে বসিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। একইসঙ্গে, যুবদলের নেতা মাহবুবুর রহমান জহুরা বেগমের কাছে রাস্তার ঠিকাদারি কাজ চাওয়ার কথাও শোনা যায়। তবে জহুরা বেগম তার প্রতি উত্তরে মানিক সওদাগরের সঙ্গে বসে কথা বলার অনুরোধ করেন এবং বিএনপির সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে যুব মহিলা লীগ নেত্রী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার সাথে কথা বলা যায়নি। তবে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু জানান, “একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল যে, জহুরা বেগম পলাতক, কোনো কাজ করতে পারছেন না, একটু কথা বলুন।” পরে আমি কথা বলি। তিনি বলেন, “মামলার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, কাজের জন্য কথা হয়েছে।”
বিষয়টি নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর বলেন, “রেকর্ড শুনেছি, কিন্তু একজন যদি বলে, ‘যদি অমুকের কাছে যায়, মামলা শেষ হবে’, তা হলে তো আমাকে তার কাছে যেতে হবে, আমাকে শুনতে হবে। মামলা আমি করছি, আমি শেষ করবো।”
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সোহেল খান বলেন, “আমি এখনও কল রেকর্ডটি শুনিনি, আগে শুনে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের পর ১ নভেম্বর বকশীগঞ্জে নাশকতার মামলা দায়ের করেন বুলবুল বিএসসি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগমের নামও রয়েছে।