শেখ মো. ইব্রাহীম, সরাইল থেকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল ১৩ কিলোমিটার সড়কের চুন্টা-অরুয়াইল অংশের ৫ কিলোমিটার সড়ক ভয়াবহ বন্যায় খানাখন্দে বেহাল অবস্থা। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ও প্রবল স্রোতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ, সুরকি, ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো গর্তে গাড়ির চাকা ডুবে যাচ্ছে। গর্তে পড়ে প্রায়ই যাত্রী ও পথচারীরা হাত-পা ভাঙাসহ মারাত্মক আঘাত পেয়ে থাকেন। এ সড়কের ২/৩টি সেতু বেহাল দশা। যে কোনো সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ সড়কটি দিয়ে অরুয়াইল ইউনিয়ন, পাকশিমুল ইউনিয়ন, চুন্টা ইউনিয়ন ও চাতলপার ইউনিনের কিছু অংশের এক লাখ মানুষের লোকজন নির্ভরশীল। সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে যে, যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেই চলাচল করা অসম্ভব।
পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলা এবং উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হচ্ছে এই সড়কটি। ফলে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। ভাঙা এ সড়কে প্রতিদিন আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এমনকি এলাকার রোগীরাও জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অরুয়াইল ক্লাস্টারের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসিফ ইকবাল বলেন, বেহাল সড়কে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় রোগীদের। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যেমন বাড়তি সময় অপচয় হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পরিবর্তে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছেন। বেহাল সড়কে জরুরি মুহূর্তে অথবা গুরুতর অবস্থায় রোগীরাও জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সে বা কোন সিএনজি অটোরিক্সা করে তাদের হাসপাতালে আনতে হয়। কিন্তু অনেক সময় চালকরা এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে রাজি হয়না। অরুয়াইল সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারী মো. রাশেদ মিয়া জানান, বন্যায় ভাঙনের ফলে এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি আসা-যাওয়ার পর গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যাত্রীদের কষ্ট দেখে অনেক অনুরোধের পর ২/১জন চালক যেতে রাজি হন। সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী মোসাম্মৎ নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, জিওবি প্রকল্পের আওতায় সড়কটি পুনরায় নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সয়েল টেস্ট করার জন্য আমাদের একটি চিঠি দিয়েছেন। বর্তমানে সয়েল টেস্ট কার্যক্রম চলছে। সয়েল টেস্ট শেষে সড়ক নির্মাণের বাকি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
