বাগেরহাট প্রতিনিধি : দারিদ্রতায় সুযোগ নিয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করার অভিযোগে বাগেরহাট মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালি এলাকা থেকে ওই মামলার আসামি মৃত্যুঞ্জয় ওরফে মরু মিস্ত্রি (৪০) কে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তন্ময় মন্ডল। মরু মিস্ত্রি পাতিলাখালি গ্রামের সাধন মিস্ত্রির ছেলে। এ মামলায় পাচার হওয়া মেয়ের ফুফুসহ ৮ জন কে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মানব পাচার ধারায় মামলা রেকর্ড হয়। যার ৪ আসামি ভারতে গ্রেফতার আছে। মামলার বাদি সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নরে পারনওয়া পাড়া গ্রামের মুনসুর আলী নামের এক বৃদ্ধ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানার এসআই তন্ময় মন্ডল বুধবার বিকেলে জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে মৃত্যুঞ্জয় ওরফে মরু মিস্ত্রি কে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিকালেই তাকে আদালতে প্রেরন করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য ,জেলার কচুয়া উপজেলার মাদারতলা গ্রামের ওই মেয়েটি (১৭) পিতার দারিদ্রতার কারনে সদর উপজেলার পারনওয়াপাড়া গ্রামে নানা বাড়ীতে অবস্থান করত। আর এই দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মেয়েটির ফুফু শাহানুর বেগম তার সহযোগিদের নিয়ে চাকুরি দেয়ার কথা বলে গত ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল সকালে ভিকটিম কে তার নানাবাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর আর ভিকটিমের খোজ খবর পাওয়া যায়নি। পরে খবর আসে তাকে ভারতের সোনাগাজি পতিতালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেক চেষ্টার এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় ভরতের সোনাগাজি পতিতালয় থেকে ভিকটিম কে উদ্ধার করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ বেনাপোল বর্ডার থেকে ভিকটিম ফিরিয়ে আনা হয়।
