সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
রায়গঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বি.এম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. শহিদুল ইসলাম (৫০) ও অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের (৩৬) বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে মো. বাবুল আকতার নামের এক ভুক্তভোগী বাদি হয়ে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আমলী আদালত রায়গঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন, মামলা নং ৭/১৭০।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুলে এন্ড বি.এম কলেজে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে ওই পদে আবেদন করে বাদী বাবুল আকতার। পরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলে নতুন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো তৈরির অজুহাতে ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ১২ লাখ টাকা আদায় করে প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম। এ টাকা গুনে নেওয়ার পর কলেজের প্যাডে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত বাবুল আকতারকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।
পরে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্দেশ মোতাবেক ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে যোগদান করে যথারীতি দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এদিকে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তির পর পুনরায় আরও ৮ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম দাবী করলে সেটা দিতে না পারায় অন্য লোককে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে বাদীর প্রদত্ত টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা ও এককালীন অস্বীকার করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান জানান, দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে কলেজে চাকরি দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে চাকরি দিতে না পেরে টাকাও ফেরত দেননি।
এ বিষয়ে দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম জানান, নতুন প্রতিষ্ঠানের কাঠামো তৈরির জন্য কিছু টাকা নেওয়া হলেও সেটা তাকে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে, রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি রেকর্ড করে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।