হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের বাহুবলে সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আর এর ফলে উপজেলার ১৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯ জন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা। এছাড়া সব পরীক্ষায় পরীক্ষক-নিরীক্ষক এবং প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হচ্ছে তাদের। গত সোমবার বিভাগীয় মামলাটি রুজু করেন হবিগঞ্জ জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন শেখ নার্গিস আক্তার, জলি বেগম, আম্মাতুল কিবরিয়া, ইমরানা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, লাকী আক্তার, রুনা আক্তার, কল্পনা রাণী চক্রবর্তী, রীপা রাণী আচার্য্য, সোমা ভট্টাচার্য্য, হেনা দেব, আয়েশা খাতুন, প্রতিভা রাণী ঘোষ, লিজা আক্তার, তাজুল ইসলাম, আব্দুল হক, সত্যব্রত পাল, প্রদীপ পাল ও পরিমল চন্দ্র দেব। এর পুর্বে গত ১০ ফেব্রুয়ারী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আতাউর রহমান হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাইয়ের সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই ১৯ শিক্ষক/শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দিয়েছিল। আর এতেই পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এ বিষয় করা হয় দীর্ঘ তদন্ত। জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় উত্তরপত্র যাচাইয়ে শিক্ষরা অনিয়ম করেছে এমন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি হয়। তদন্ত কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে তাদের কারণ দর্শানোরও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরো জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।