ঢাকাপ্রতিদিন অন্যান্য ডেস্ক : টিকটকের অনেক নেতিবাচক দিক থাকলেও ‘বুকটকের’ ইতিবাচকতা এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, বুকটক অন্তত টিনএজারদের বই পড়ার অভ্যাসকে চাঙ্গা করছে।
বুকটকের প্রধান আকর্ষণই হলো, বইপ্রেমীদের একসঙ্গে যুক্ত করা। টিকটক একটি মজার ও সৃষ্টিশীল মাধ্যম হওয়ায় চাইলেই গানের সঙ্গে ছবি সংযুক্ত করে, কোনো কিছু পুনরায় ব্যবহার, নকল বা অনুকরণ করে বইয়ের ভিডিও বানানো সম্ভব।
বর্তমানে টিনএজারদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় একটি অ্যাপের নাম টিকটক। টিনএজারদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে টিকটকের ‘হ্যাশট্যাগ বুকটক’ (#নড়ড়শঃড়শ)। হ্যাশট্যাগের বুকটকের আওতায় বইয়ের ছবির সঙ্গে মিল রেখে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ, ছবিকে টিকটকের জনপ্রিয় সাউন্ডট্র্যাকের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। সাধারণত এসব ভিডিও এক মিনিটেরও কম দীর্ঘ হয়।
যাঁরা এই হ্যাশট্যাগের অধীনে কাজ করছেন, তাঁদের একটি নতুন নামও ঠিক হয়ে গেছে—‘বুকটকার’।
বুকটক মূলত একটি বইপাগল গোষ্ঠী, যারা টিকটকে নিজেদের বইপ্রেম ও পড়ার অভ্যাসকে তুলে ধরে। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে হ্যাশট্যাগ বুকটকের ৪৬ বিলিয়ন ভিউ রয়েছে!
বিশ্বে সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও এরই মধ্যে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন বুকটকাররা। তাঁরা টিনএজারদের বই পড়তে উৎসাহিত করছেন এবং নিজেরা কী পড়ছেন, তা জানাচ্ছেন।
অনেক বই বিক্রেতাই জানিয়েছেন, বুকটকের প্রভাবে এসে টিনএজাররা এখন আগের চেয়ে বেশি বই কিনছেন। একজন বুকটকার বললেন, ‘বুকটকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পরেই আমি ছয় বছর পর আবার বই পড়া শুরু করলাম।’
টিকটকের মূল উপাদান হচ্ছে আবেগ এবং এখানে প্রচুর ভিডিও আসে, যা সব মিলিয়ে এটিকে একটি ভালোবাসার মাধ্যমে পরিণত করে তরুণদের কাছে। বইয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয় কাজ করে। কারণ বইপ্রেমীদের কাছে বই তাদের ভালোবাসা।
বুকটক টিনএজারদের জন্য একটি ‘ডিজিটাল স্পেস’ তৈরি করে দিচ্ছে, যেখানে তারা বন্ধুত্বপূর্ণ ও তরুণদের জন্য উপযোগী পরিবেশে নিজেদের মতামত-অনুভূতি শেয়ার করতে পারবে। সেই সঙ্গে তারা বর্তমান প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করবে। সূত্র : এরাব নিউজ
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর