বাগেরহাটের শরণখোলায় বিষ প্রয়োগ করে এক ব্যবসায়ীর প্রায় দেড় লাখ টাকার পাঙ্গাস মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে তিনটি ড্রামে মাছগুলো জিইয়ে রাখা ছিল। সোমবার রাতের কোনো এক সময় তাতে বিষাক্ত দ্রব প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা।
আজ মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) সকালে মাছগুলো বিক্রি করার জন্য ড্রাম খুলেই সমস্ত মাছ মরা অবস্থায় দেখে হতবাক হন মৎস্য ব্যবসায়ী মো. কবির হাওলাদার (কবির আড়ৎদার)। এঘটনায় শরণখোলা থানা ও উপজেলা মৎস্য অফিসে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. কবির আড়ৎদার বলেন, মোংলার ঘের থেকে তিনি ২০ মণ জ্যান্ত পাঙ্গাস মাছ কিনে তিনটি ড্রামে জিইয়ে রাখেন। একই স্থানে পাশাপাশি আরো পাঁচটি ড্রামে জ্যান্ত পাঙ্গাস ছিল অন্য দুই আড়ৎদারের। এর মধ্যে শুধু আমার তিন ড্রামের মাছ মরেছে। কিন্তু তাদের ড্রামের মাছের কিছুই হয়নি।
কবির আড়ৎদার আরো বলেন, শত্রুতা করে হয়তো কেউ চালের পোকা অথবা ইঁদুর মারা ওষুধ ফেলেছে ড্রামে। এতে তার সব মাছ মরে যাওয়া প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, এভাবে একজন ব্যবসায়ীর ক্ষতি করা খুবই দুঃখজনক। এটা সকল ব্যবসায়ীর জন্যও আতঙ্কের। আমরা দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
শরণখোলা থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, মাছ মারার বিষয়টি মৌখিক লিখিতভাবে জানিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।