সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় গত তিন দিনের টানা প্রবল ভারী বর্ষণে ১, ২, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৫নং ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট এবং মহল্লার বেশিরভাগ বাড়িতে জল প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন দিনের বর্ষণে খেটে খাওয়া মানুষের কাজ বন্ধ হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিপাকে পড়েছে। অনেকের বাড়িতে রান্না বন্ধ হয়ে পরেছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনাহারে রয়েছে। পৌরসভার গোলাহাট রেল কলোনী, সালটিয়া পারা, গাট পারা, কাজী পারা, নতুন বাবু পারা, বাবু পারা, গোয়াল পারা, হাওয়ালদার পারা, মিস্ত্রি পারা, বাশ বাড়ি, কোন্দল, নিয়ামতপুর মুন্সি পারা, নিয়ামতপুর জুম্মা পারা, হাতিখানা সহ বিভিন্ন এলাকার শত শত বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে পরেছে। নিয়ামতপুর এলাকার জুম্মা পারায় সর্বমংলার ধারে শতাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন, পৌরসভার এসব অসহায় মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও খিচুড়ি বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার সৈয়দ মঞ্জুর আলম বলেন, পৌরসভার মধ্যে তার এলাকাটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ হাজার ৫শ পরিবারের মধ্যে খিচুড়ি বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি ১০নং ওয়ার্ড কমিশনার ৯শ পরিবারের জন্য খিচুড়ির আয়োজন করেছে। ৬নং ওয়ার্ড কমিশনার শাহিনুর আলম শাহিন (মিঠু) কে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্লাবিত এলাকার অসহায় মানুষের জন্য শুকনা খাবার ও খিচুড়ি বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের নারী কমিশনার কনিকা রাণী সরকার প্রায় ৩শ মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করেছে। সমাজকর্মী মোছাম্মৎ রোজিনা বেগম ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের প্লাবিত এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন। সৈয়দপুর পৌরসভার প্রায় ১০ হাজার পরিবার এই তিন দিনের প্রবল ও ভারী বর্ষণে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
