সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মাইশা খাতুন নামে দুই বছরের শিশু বাচ্চার রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, মৃত মাইশা খাতুন বেলকুচি উপজেলার ২নং রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আগুরিয়া গ্রামের মাহমুদুল মন্ডলের মেয়ে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ২৮শে অক্টোবর মৃত মাইশার মরদেহ তার নানা লেবু প্রামানিক এর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে বেলকুচি থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪ বছর পূর্বে লেবু প্রামানিক এর মেয়ে লিমা খাতুনের সাথে একই গ্রামের শাজাহান মন্ডলের ছেলে মাহমুদুল মন্ডলের বিয়ে হয়।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কোন মিল মহব্বত ছিলনা প্রায়ই ঝগড়াজাটি লেগেই থাকতো, এজন্য তাদের নিয়ে অনেক দরবার শালিশও হয়েছে। তাতেও কোন সুরাহা হয়নি, গত ২৬ শে অক্টোবর বিকেলে দু’পক্ষের সম্মতিতে শালিশি বৈঠক করে ডিভোর্স কার্যকর সম্পন্ন হয়, দরবার শেষে মেয়ে মায়শা খাতুনকে তার বাবা মাহমুদুল মন্ডল বাড়িতে নিতে চায়, কিন্তু তার স্ত্রী লিমা খাতুন দিতে রাজি হয়নি, মেয়েকে নিয়ে জোরাজোরি করলে মাহমুদুল মন্ডল তার মেয়ে মায়শাকে ডিভোর্সকৃত স্ত্রীর কাছে রেখে যাওয়ার পরদিন রাতেই লাশ হয় দুই বছরের শিশু বাচ্চা মাইশা খাতুন।
এবিষয়ে মাইশার বাবা মাহমুদুল মন্ডল জানান, আমার মেয়েকে আমি আমার কাছে রাখতে চেয়েছিলাম ওরা আমাকে দেয়নি, আমার মেয়েকে ওরা চক্রান্ত করে মেরে ফেলেছে, আমি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
এদিকে মাইশার মা লিমা খাতুন কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ে মাইশাকে নিয়ে রাতে শুয়েছিলাম হঠাৎ দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে, কিভাবে আমার মেয়ে মারা গেল আমি কিছুই বুঝতে পারিনাই। তার মৃত্যু কিভাবে হলো এটা বলেই কান্নায় ভেঙে পরে লিমা খাতুন।
এবিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন জানান, শিশু বাচ্চার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ প্রশাসন সাথে নিয়ে তদন্ত করেছি, প্রাথমিক অবস্থায় মৃত্যুর রহস্য জানা যায়নি, শিশুর মা সহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে, পরে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।