পাকিস্তান সিরিজের পর ইংল্যান্ডের কাউন্টি লিগেও দারুণ বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে চলমান চেন্নাই টেস্টে যেন তার সব ধার ফুরিয়ে গেছে। উইকেট তো পাচ্ছেন–ই না, উল্টো রান বিলাচ্ছেন ওয়ানডে মেজাজে। চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনও ৭ ওভার বল করে উইকেটশূন্য সাকিব দিয়েছেন ৫৯ রান। এমন ব্যর্থতার দিনে অবশ্য তিনি একটি রেকর্ড গড়েছেন।
টাইগারদের হয়ে আজ শনিবার সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট খেলার রেকর্ডটি গড়লেন সাকিব। এদিন তার বয়স দাঁড়িয়েছে ৩৭ বছর ১৮০ দিন বয়সে। এতদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ বয়সে টেস্ট খেলার রেকর্ডটি ছিল সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের। এর আগে তিনি ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় পোস্টারবয় সাকিব। একের পর এক ব্যক্তিগত মাইলফলকে তিনি নাম তুলে চলেছেন ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত সময়ে এসেও। যদিও আগের মতো ঠিক অলরাউন্ডার সাকিবের দেখা মেলে না সহসা। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারের কাতারে তার নামটাই হয়তো ওপরের দিকে থাকবে। এমন কিছু রেকর্ড গড়েছেন তিনি, যা ভাঙার অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ ও কঠিন।
বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট খেলার রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের উইলফ্রেড রোডসের দখলে। ১৯৩০ সালে তিনি যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যখন তিনি শেষ টেস্ট খেলেছেন, তখন তার বয়স ছিল ৫২ বছর ১৬৫ দিন। তার টেস্ট ক্যারিয়ারও ছিল অবিস্মরণীয় ৩০ বছরের। এত লম্বা ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়তে বর্তমান সময়ে দেখা যায় না। আধুনিক ক্রিকেট প্রচলনের পর সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে টেস্ট খেলার রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি শেষ টেস্ট খেলেছেন ৪২ বছর ৩৫১ দিন বয়সে।
এদিকে, বাংলাদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ বয়সে টেস্ট খেলার রেকর্ড গড়লেও, মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে অতটা আলোচিত হচ্ছেন না সাকিব। ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৩ ওভারে ৭৯ রান দিয়েছেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৮ ওভারে ৫০ রানের বিনিময়েও উইকেটের দেখা পাননি সাকিব। এরইমাঝে অভিযোগ উঠেছে আঙুলে চোট এমনকি অস্ত্রোপচার নিয়েও তিনি টেস্ট খেলছেন!