শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল শুরু নববর্ষ উদযাপনে নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর কাপ্তায়ে বিএসপিআই সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণমিছিল ফিলিস্তিনের সমর্থনে মার্চ ফর গাজা – লালমোহনে সর্বদলীয় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ লালমনিরহাটে মধ্যরাতে বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো ভারতীয় বিএসএফ সাংবাদিক মালেকের মা আর নেই পাইকগাছায় বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মাইটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত শরণখোলা প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামী নেতা অধ্যক্ষ আলীমের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার রোধে এনজিও কর্মীদের ভূমিকা পালনের আহবান মোহনগঞ্জের প্রান্তিক কৃষকদের পাঁচশ’ গবাদিপশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান ‎দুর্গাপুরে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ২ নবীনগরে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধনা নান্দাইলে মাদক, জুয়া ও ইভটিজিং রোধকল্পে উপজেলা নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন সিরাজগঞ্জে পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ, পাটবীজ ও সার বিতরণ মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রদলের আয়োজনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের মাঝে পানি ও কলম বিতরণ বীরগঞ্জে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত নান্দাইলে সেবা ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ নেছারাবাদে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হাটের ইজারা তুলতে বাধা দেয়ার অভিযোগ ভৈরবে  ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ও মিথ্যা মামলার আসামী হলেন নিরীহ অটোচালক দম্পতি  পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ঘের দখল ও লুটপাটের অভিযোগ সালথায় ২৫টি মামলার আসামী মাসুদসহ ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক ১৪৩২ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শ্রীপুরে বিএনপির বিশাল বৈশাখী শোভাযাত্রা ফরিদপুরে স্ত্রীর হাতের পুতাে’র আঘাতে স্বামী নিহত কর্ণফুলীতে ৫ টাকা বেড়েছে ঘাট ভাড়া; বিপাকে পড়েছেন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা: প্রধান আসামি ছেলে গ্রেফতার কাপ্তাইয়ে মৎস্য বিভাগ কর্তৃক ১০০ টি ছাগল বিতরণ ঘাটাইলে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ লালমনিরহাটে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা, আটক ১

ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন!

অনলাইন ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৭:২৯ অপরাহ্ন

দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাটেনি সংকট। ডলার সংকটের সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এর মধ্যে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল বাবদ ১৬৩ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। একই সঙ্গে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ এটি কমে দুই হাজার ৩৭২ কোটি মার্কিন ডলারে (২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন) নেমেছে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন এক হাজার ৮৩০ কোটি ডলারে (১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন)।

এর আগে ২০১৪ সালের শুরুর দিকে রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানোর পর এর নিচে কখনো নামেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয়। প্রকাশ করে না। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৩ দশ‌মিক ২২ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

কীভাবে তৈরি হয় রিজার্ভ

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় কমেনি। এছাড়া করোনার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এ অবস্থায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে; যা এখনো অব্যাহত আছে। এ সংকট দিন দিন বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটি।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় কিছু নীতি সংস্কারসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা আগামী মাসে। তার আগে পর্যালোচনা বৈঠক করতে ঢাকায় এসেছিল আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার অন্যতম শর্ত তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণ করা। সেই অনুযায়ী গত মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা এক হাজার ৯২৬ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কম। এছাড়া আগামী জুন নাগাদ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া ছিল দুই হাজার ১০ কোটি ডলার। তবে লক্ষ্য পূরণে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিজার্ভ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে আইএমএফ।

এ বিষয় আইএমএফ বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, জুনভিত্তিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন রাখতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি

বাজারে ডলার সংকট কাটাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিক ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে আমদানি দায় মেটাতে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। আর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল।


এই বিভাগের আরো খবর