ঢাকাপ্রতিদিন অন্যান্য ডেস্ক : দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম, জাপানের ফুকুওয়াকা মিউজিয়ামেও ঠাঁই পেয়েছে তার রিকশাচিত্র। ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, নেপালসহ অনেক দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহেও আছে এসব শিল্পকর্ম। ৫৮ বছর ধরে আঁকছেন সৈয়দ আহমাদ হোসেন। তবে হোসনি দালান এলাকায় আহমাদ নামেই বেশি পরিচিত।
ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বাবাকে হারানোর পর থেকে ইতি ঘটে আহমাদের পড়াশোনার।
১৯৬৭ সালে আহমাদ দুরন্ত কিশোর। একদিন টিন কেটে সেটায় ছবি এঁকে নিয়ে যান এক রিকশার গ্যারেজে।
মনে ধরে গ্যারেজ মালিকের। তিনি ছবিটি রেখে দিলেন। কয়েক দিন পর ডেকে আট টাকা ধরিয়ে দিলেন। বলেন, ‘শুধু বোর্ড নয়, এখন থেকে পুরো রিকশার আর্ট দিতে হবে।’
এরপর থেকে রিকশার যেসব জায়গায় আর্ট করা যায়, সবই করে নিয়ে আসেন আহমাদ। গ্রামের দৃশ্য, হিন্দি-উর্দু সিনেমার দৃশ্য, জীবজন্তু আঁকতে শুরু করেন। এ ছাড়া কাল্পনিক নানা দৃশ্য আঁকতেন। একসময় তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ল। তখন সাতটি রিকশা গ্যারেজ থেকে চাহিদা আসত।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর