ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় যানজট নিরসনে আইনি ব্যবস্থা নিতে গিয়ে হামলার শিকার হন এক পুলিশ সদস্য। আজ শুক্রবার (সকাল ৯টার দিকে) মাওনা হাইওয়ে থানার কনস্টেবল আব্দুর রউফকে জনসম্মুখে মারধর ও অপমান করেন ইমাম পরিবহনের চালক ও হেলপার সোহাগ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে ৯৯৯–এর একটি কলের সূত্র ধরে কনস্টেবল আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে যান। একটি প্রাইভেট কারকে সহায়তা করার পর তিনি লক্ষ্য করেন, অফিস টাইমে ইমাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে, ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
বারবার সতর্ক করার পরও নির্দেশ না মানায়, কনস্টেবল রউফ রেকার বিলের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় বাসটিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কিন্তু জরিমানার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাসটির চালক ও হেলপার সোহাগ। তারা কনস্টেবলের ওপর চড়াও হন এবং জনসম্মুখে হেনস্থা ও হামলা চালান।
মাওনা হাইওয়ে থানার কনস্টেবল আব্দুর রউফ বলেন,
আমি আইন অনুযায়ী কাজ করেছি। কিন্তু হেলপার সোহাগ আমার হাতে কামড় দেয়, হাতে থাকা দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আমার স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোনটিও কেড়ে নেয়। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।
মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি আইয়ুব আলী) বলেন, অফিস টাইমে বাসটি রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। এতে বড় যানজট তৈরি হয়। একাধিকবার নিষেধ করার পরও তারা কথা না শুনলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেয়। জরিমানা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রাইভার ও হেলপার মিলে কনস্টেবল রউফের ওপর হামলা করে। ঘটনায় একটি কুচক্রী মহলও তাদের উসকানি দিতে পারে।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পর ইমাম পরিবহনের বাসটি পালিয়ে গেলেও পরে সালনা হাইওয়ে পুলিশ সেটি আটক করে। এই ঘটনায় বাসের ড্রাইভার এবং হেল্পার আটক আছেনি, বর্তমানে এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।