সোহেল রানা, শ্রীপুর থেকে
সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কাপড়ে নাক ঢেকে চলছে পথচারীরা। শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা-সড়কের রঙ্গিলা বাজারের উত্তর পাশের প্রতিদিনের চিত্র এটি। রঙ্গিলা বাজার থেকে এমসি বাজার পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার পথ। মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উছেঠে অসংখ্য কারখানা। এ সব কারখানায় প্রায় বিশ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। আর এদের এক তৃতীয়াংশ শ্রমিক মহাসড়ক দিয়ে দুর্গন্ধ সহ্য করে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রঙ্গিলা বাজার সংলগ্ন স্থানে রাস্তার উপর দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের পাশে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলা হলেও সংশ্লিষ্টরা তা সরাতে কোন পদক্ষেপই নেয়নি। গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রঙ্গিলা বাজার থেকে উত্তর দিকে দি ওয়েল টেক্র কারখানা পর্যন্ত বাজারের বর্জ্য রাস্তার উপর ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হাজারো মানুষ ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আজিজ নামের এক ভ্যানচালক বলেন, রঙ্গিলা বাজার থেকে এমসি বাজারে যাইতে যে কষ্ট হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।
স্থানীয়রা জানান, এ মহাসড়ক দিয়ে দিন-রাত শত শত যানবাহন চলাচল করে। ওই সব যানবাহনের যাত্রীও এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করেন। মহাসড়কের ওই স্থান অতিক্রম করার সময় অনেক যাত্রী বমি করেন। স্থানীয় বাসিন্দা জজ মিয়া বলেন, মহাসড়কের এ স্থানে আসলেই আর সামনে যেতে মন চায় না। ৩০০ মিটার সড়ক পার হতে অনেক কষ্ট হয়। উৎকট দুর্গন্ধ। বমি চলে আসে। এরকম অবস্থা অনেক দিন থেকে চলছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার সাজেন্ট শিবলু মিয়া বলেন , মহাসড়কের উপর ময়লা যেখানে ফেলা হচ্ছে আমরা আজই (সোমবার) বাজার কমিটিকে নিষেধ করে দিবো ময়লা না ফেলতে। মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি এ আর এম আল মামুন বলেন, মহাসড়কের উপর ময়লা ফেলা ঠিক নয়। যারা এ কাজটি করছে আমি তাঁদের আজই ময়লা ফেলতে নিষেধ করে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
