আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লুজাইন আল-হাথলুল নামের এক বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মীকে কারাদন্ড দিয়েছে সৌদি আরবের আদালত। গতকাল সোমবার পাঁচ বছর আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে হাথলুলকে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছেন হাথলুলের পরিবার। তবে দেশটির বিচার ব্যবস্থায় আপিলে খুব কমই আশা দেখছেন তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আদালতের ওই রায়কে লজ্জাজনক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে অভিযোগ করেছেন লুজাইনের পরিবার। আদলতের রায়ে তাকে পাঁচ বছরের জন্য দেশ ত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লুজাইনের ভাই ওয়ালিদ আল-হাথলুল এএফপিকে জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লুজাইন কাঁদতে শুরু করে। কারণ তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছি, যদিও সৌদির বিচার ব্যবস্থায় কোনো আশা দেখছি না।’
লুজাইনের বিরুদ্ধে সৌদি রাজনৈতিক ব্যবস্থা রদবদল এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩১ বছর বয়সী হাথলুলকে ২০১৮ সাল থেকে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভুয়া বলে অভিহিত করেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের স্থানীয় মানবাধিকার গ্রুপ ও আইন প্রণেতারা তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
সৌদির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহল এই রায়ের নিন্দা জানিয়েছে এবং নতুন করে মার্কিন তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে রিয়াদ।
সৌদির সাবক এবং আল-শার্ক আল-আওসাত সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পর্কের জন্য এটি একটি প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে বাইডেন রিয়াদের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে সমালোচনা করেছেন।’