আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থানবিরোধী সমাবেশে যোগ দিলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জল কামান এবং টিয়ার গ্যাসও ব্যবহার করা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চিকে বন্দি করা হয়। এর দুদিন পর থেকে দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রথমে জলকামান ব্যবহার করা হয়। পরে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘তারা প্রথমে দুবার ফাঁকা গুলি ছুড়েছিল, পরে তারা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে।
দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যে সোমবার প্রথম টেলিভিশনে ভাষণে দিয়েছেন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তিনি একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাণিজ্যিক নগরী ইয়াঙ্গুন, রাজধানী নেপিদুসহ বিক্ষোভ চলছে এমন এলাকাগুলোতে পাঁচ জনের বেশি জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় নৈশ কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে বিক্ষোভকারীরা ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমরা আমাদের নেতাকে চাই’, ‘কোনো স্বৈরতন্ত্র নয়’। ইয়াঙ্গুনের সান চাউং শহরতলিতে শিক্ষকরা মিছিল করেছে।
থেইন উইন নামে এক শিক্ষক বলেছেন, ‘আমরা তাদের হুঁশিয়ারিতে ভীত নই। এ কারণেই আজ আমরা এখানে এসেছি। আমরা তাদের ভোট জালিয়াতির অজুহাত মানি না। আমরা কোনো সামরিক স্বৈরতন্ত্র চাই না।’